নিজস্ব প্রতিবেদক : কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদে সংসদ সদস্য কর্তৃক বরাদ্দকৃত সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য আড়াই হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসলেম আহম্মেদ গত ২৮ সেপ্টেম্বর এ ঘুষ গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ। জালালাবাদ দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কলারোয়া আলিয়া মাদ্রসার গণিতের শিক্ষক আহছানুর রহমান জানান, সাংসদ অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ তাদের মসজিদে একটি সোলার প্যানেল সংযোগের ব্যবস্থা করেন। সে অনুযায়ী গত ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পক্ষ থেকে ওই প্যানেল লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জালালবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসলেম আহম্মেদ। তিনি এ সোলার প্যানেল লাগানোর জন্য আড়াই হাজার টাকা দাবি করেন। বিষয়টি তিনি মসজিদ কমিটির অপর সদস্য মহিদুর রহমানও তাকে অবহিত করেন। একপর্যায়ে তিনি কলারোয়া থেকে মসজিদে ফিরে এসে জরুরি সভা ডাকেন। সভায় সহসভাপতি অজিয়ার রহমান, সদস্য আব্দুল গফফার, ইমাম মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ওই আড়াই হাজার টাকা মোসলেম আহম্মেদকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে মোবাইল করে জালালাবাদ বাজারে জাহাঙ্গীরের মুদির দোকানে বসে থাকা মোসলেম আহম্মেদের কাছে ওই টাকা তুলে দেন মহিদুর রহমান। পরবর্তীতে তারা জানতে পারেন যে, ওই টাকা নিয়ম বহির্ভুতভাবে পকেটস্থ করেছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা। আহছানুর রহমানের অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন কমিটির কয়েকজন সদস্যসহ এলাকার মুসল্লীরা। এ নিয়ে মুখ খুললে তাদেরকে নাশকতার মামলায় চালান দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। জানতে চাইলে জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসলেম আহম্মেদ জানান, এলাকার যারা জামায়াত শিবির করে তারা তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। ইউনিয়নে আরো ২৮টি সোলার প্যানেল সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কোন টাকা নেওয়া হয়েছে কিনা জানলে মসজিদ কমিটি থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি কোন ব্যক্তিকে নাশকতার মামলায় চালান দেওয়ার হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।