রাম রহিম যখন জেলে যান, তখন তিনি হানিপ্রীতকে তার সঙ্গে থাকতে দেয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, হানি নাকি তার ফিজিওথেরাপিস্ট। জেলে রাম রহিম কথা বলার জন্য যে দু’টি ফোন নাম্বার ছিল, তার মধ্যে একটি হানিপ্রীতের। গত ৪০ দিন ধরে ওই নাম্বার বন্ধ। পুলিশকে বলে দেওয়া হয়েছিল, হানিপ্রীতের ফোন হারিয়ে গেছে। তাই হানিপ্রীতকে ফোনে না পেয়ে জেলে সারাক্ষণ রাম রহিম ‘হানি হানি’ করে চিৎকার করছেন।
জানা যায়, বাবা’র কোমরে ব্যথা হচ্ছে খুব। হানিপ্রীতের তা একেবারেই সহ্য হচ্ছে না। তাই যে ভাবেই হোক বাবার সঙ্গে তাকে দেখা করতেই হবে। এমনই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন হানিপ্রীত ইনসান। ডেরা প্রধান রান রহিম ইনসানের দত্তক কন্যা হানিপ্রীত আপাতত পুলিশের হেফাজতে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। জেলের মধ্যে বাবাকে খুব মিস করছেন হানি। বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য চেষ্টার কোন কসুর করছেন না। তিনি তো এও বলেছেন, বাবার নাকি পিঠে খুব ব্যথা। পিঠে ম্যাসাজ দিতে দেওয়ার জন্য অন্তত তাকে যেতে দেওয়া হোক।
গত ৪দিন ধরে হানিপ্রীতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মহিলা পুলিশ। তাদেরই নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন হানিপ্রীত। এমনকি তাকে পরীক্ষা করতে আসা লেডি ডাক্তারকেও বাদ দেননি। তাঁকেও বলেছেন তিনি বাবার সঙ্গে দেখা করতে চান। থানায় তো একথা এখন সকলেই জানে। চাউর হয়ে গেছে বাবার স্মৃতি ছাড়া একটা মুহূর্তও কাটতে চায় না হানিপ্রীতের। তার উপর তিনি জানিয়েছেন বাবার নাকি কোমরে ব্যাথা। উনি খুব কষ্টে আছেন। তাই বাবার সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি।