রোহিঙ্গা নিধন ইস্যুতে মিয়ানমারের শীর্ষ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ওয়াশিংটন, ইয়াঙ্গুন ও ইউরোপভিত্তিক বেশ কিছু কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মূলত রোহিঙ্গা নিধন বন্ধে বারবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি জানালেও এই সহিংসতা বন্ধে কর্ণপাত করেনি মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তাই এ ধরনের সিদ্ধান্তের কথা ভাবছে পশ্চিমা বিশ্ব।
নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে মিয়ানমার সেনা কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ এবং এদের সঙ্গে আমেরিকানদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
তবে রয়টার্স জানায়, এ বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস এ জন্য আরও কিছু দিন সময় নিতে পারে। রাখাইনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা বাড়ানোরও আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে ইউরোপ, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার কারণে ওয়াশিংটন এ বিষয়ে সাবধানতার সঙ্গে এগোচ্ছে বলে জানায় রয়টার্স।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চলমান সহিংসতার কারণে এ পর্যন্ত সাড়ে ৫ লাখের মতো রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এখনও প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। জাতিসংঘ মনে করছে, আবারো বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢল নামতে পারে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষভাবে দেশ শাসন থেকে সরে আসার পর ২০১২ সালে মিয়ানমারের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ইইউ। তবে নব্বইয়ের দশক থেকে চলে আসা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা এখনও রয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর থেকে বেশিরভাগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা রেখেছে।