কালিগঞ্জ ব্যুরো : “ইঁদুর দমন সফল করি, মাঠের ফসল গোলায় ভরি” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১টায় কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নবাগত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ শেখ ফজলুল হক মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজিৎ কুমার মন্ডল, প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসেন প্রমুখ। এসময় ছিলেন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল আলম বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুল, তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম, আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু। এসময় বক্তারা বলেন, কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করে ক্ষেতের ফসল উৎপাদন করে। আর সেই ফসল ঘরে তোলার পূর্বেই ইদুর নামক একটি ছোট্র স্তান্যপায়ি প্রাণী ক্ষতি সাধন করে। এই ছোট প্রাণীটি বছরে ৭৭ হাজার মে: টন ফসল খায় ও নষ্ট করে, অনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। ইদুর জাতীয় শত্রু এরা সামনে যা পায় তাই খায় ও নষ্ট করে। ইদুর এতো চালাক প্রাণী বিষটোপ দিলেও খেতে চায়না। বাচ্চা প্রসবের পর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আবারও গর্ববতী হয় এবং বছরে তিন বার পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব ও দ্রুত বংশ বিস্তার করে। ইদুর প্লে রোগের জীবানু বহন করে, এই প্রানীটি আমাদের চারীপাশে থাকে বিধায় সকলকে সচেষ্ঠ থাকতে হবে। বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার, কৃষকদের কল্যানে সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি সেবা কৃষকদের দোরগড়ায় পৌছে দিয়েছেন। জামায়াত বিএনপির শাষন আমলে কৃষকরা সারের অভাবে জীবন দিয়েছিল। আজ আর সেই দিন নেই, দিন বদলে গেছে দেশের কৃষকরা ফসল উৎপাদনে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আর সেই কষ্টের ফসল ইদুর খেলে দু:খের সীমা থাকে না।