নিজস্ব প্রতিবেদক : অনেক প্রচেষ্টার পর শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যে পৌঁছালেও অর্থের অভাবে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না মেধাবী শিক্ষার্থী শামীমা খাতুন’র । শামীমা খাতুন এ বছর রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে কিন্তু তার মায়ের আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় মেয়ের কলেজে ভর্তি করা ও তার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শামীমা খাতুন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাছিয়াড়া গ্রামের হত দরিদ্র রাবেয়া বেগমের মেয়ে। তার মা গ্রামে গ্রামে ফেরি করে কাপড় বিক্রি করেন। তার মা রায়েবা বেগম জানান, শামীমা ২০১৭ সালে তালা মহিলা কলেজ থেকে থেকে এইচ.এস.সি পরিক্ষায় জিপিএ-৪.৮৩ পেয়েছে, এস.এস.সি পরিক্ষায়ও সে গোল্ডেন “এ” প্লাস পেয়েছিলো। এ বছর রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। কিন্তুআর্থিক সামর্থ্য না থাকায় আমি তার লেখাপড়া খরচ যোগানো সম্ভব হচ্ছে না। শামীমা খাতুন জানান, তালা মহিলা কলেজে পড়ার সময় কলেজ খরচ, হোষ্টেলে থাকা, খাওয়া খরচ দিত মহিলা কলেজ কতৃপক্ষ। আমার মা ও শিক্ষকদের সহযোগিতা ও নিজের মেধা, প্রচেষ্টায় আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছি। তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান জানান, মেয়েটি অনেক মেধাবী ও তার পরিবার হতদরিদ্র তাই কলেজের কতৃপক্ষ তার সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। মেয়েটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। ভর্তি এবং পড়াশুনা খরচ চালানোর জন্য অর্থের প্রয়োজন। তাই সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তির আন্তরিক সাহায্য কামনা করেছেন মেয়েটির পরিবার। মেধাবী শিক্ষার্থী শামীমাকে আর্থিক সাহায্যে দিতে সরাসরি যোগাযোগ করুন – ০১৯৪৩-৫১৬৭৯২ নম্বরে।