ডেস্ক রিপোর্ট: খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, দেশব্যাপী দু:স্থদের মাঝে দশ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির ক্ষেত্রে নানান অনিয়মের অভিযোগ তারাও পেয়েছেন। এক সাক্ষাতকারে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, “বিভিন্ন অভিযোগ আসছে আমাদের কাছে। ডিলার নিয়োগের ব্যাপারে অভিযোগ আসছে। ডিলাররা চাল বিলি করার ব্যাপারে বণ্টন করার ব্যাপারে ওজনে কম দিচ্ছে এবং তালিকা তৈরি সঠিকভাবে হয়নি এমন অভিযোগ আসছে। অনেক হতদরিদ্রকে বাদ দিয়ে অবস্থাপন্ন যারা তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে-এমন অভিযোগ আসছে”। এসব অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে তারা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
সরকার সেপ্টেম্বর মাসে দশ টাকা দামে চাল বিক্রির এই কর্মসূচি শুরু করার পর থেকেই বিভিন্ন জেলায় অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ আসছে। কমপক্ষে পঁচিশটি জেলা থেকে এমন তথ্য আসে যেখানে বলা হচ্ছে, দুস্থ এবং গরিব মানুষের বদলে অবস্থাপন্ন বা ধনীরাই চাল পাচ্ছেন। খাদ্যমন্ত্রী মি: ইসলাম স্বীকার করেছেন যে, তারাও এমন তথ্য পেয়েছেন। ডিলার নিয়োগেও দলীয়করণের অভিযোগ এসেছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, এই কর্মসূচিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও দলীয়করণের চেষ্টা চালানোর কথা শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “পত্রিকায় দেখার সাথে সাথে আমরা তাদের বলছি। যারা তালিকা তৈরি করেছে সেইসব মেম্বার চেয়ারম্যানকে আমরা গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নিয়েছি”। মন্ত্রী কামরুল ইসলাম আরও বলেন, “আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি কোনভাবেই আমাদের দলীয় এমপি বা চেয়ারম্যান মেম্বারদের দলীয়করণ করার সুযোগ আমরা দেব না”। এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং দুদকের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে সমস্ত বাংলাদেশে এ নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মানতে রাজী নন। দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দিতে এই কর্মসূচি নেয় সরকার। বছরে পাঁচ মাস এই চাল বিতরণ কার্যক্রম চলবে।