কালিগঞ্জ

কালিগঞ্জে বিধবাকে ধর্ষণ ও মারপিটে মৃত্যুর অভিযোগ

By Daily Satkhira

October 13, 2017

নিজস্ব প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামে চাচিকে ভাতিজা মারধর ও ধর্ষণ করায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার সময় আনোয়ারা বেগম (৪৫) নামের এক বিধবার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে। এ ঘটনায় নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার আনোয়ারা মৃত্যুর আগে ২৪শে সেপ্টেম্বর নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ দিয়ে ভাতিজা আব্দুর রহমানসহ ৫ জনরে বিরুদ্ধে র‌্যাব-৬ খুলনাতে একটি অভিযোগ করেন বলে জানা যায়। তিনি শ্যামনগর উপজেলার ইশ্বরীপুর ইউনিয়নের আবাদ চন্ডিপুর গ্রামের মৃত মোহম্মাদ আলী গাজীর মেয়ে ও কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের কাছারিপাড়া গ্রামের মৃত হাফিজুর মুন্সীর স্ত্রী। র‌্যাবের কাছে দেয়া অভিযোগের কপি ও বিধবার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মৌতলা গ্রামের হাফিজুর মুন্সীর সাথে আনায়ারা বেগমের ২য় বিয়ে হয়। ৫ বছর আগে আনোয়ারাকে নিঃসন্তান রেখে তার স্বামী মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ঢাকায় বসবাসরত তার ছোট দেবরের মৌতলায় অবস্থিত বাড়িতে বসবাস করত সে। কয়েক মাস আগে তার ছোট দেবরের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৫) ব্যবসার কাজে মৌতলয় তাদের বাড়িতে অবস্থান করছিল। এসময় তার অসহায় চাচি আনোয়ারাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিত সে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় তাকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করত সে। ২৪ শে সেক্টেম্বর বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে রহমান চাচিকে একা পেয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায় সে চিৎকার করলে বেধরক মারপিট করে এসময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আনোয়ারা। এসময় রহমান ও তার খালাত ভাই ফারুক হোসেন তাকে ধর্ষণ করে। এরপর সকালে জ্ঞান ফিরলে আশে পাশের মানুষের কাছে এবং তার পরিবারে মানুষের সাথে তার দেবরের ছেলে রহমান ও ফারুক রাতে তাকে ধর্ষণ ও অমানবিক শারিরীক নির্যাতনের বিবরণ দেয় ।তার মাথায় ফোলা সহ শরিলের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ দেখায় এলাকার মহিলাদের। এসময় মারাত্বক অসুস্থ অবস্থায় তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এলাকা বাসী। সে খানে যেয়ে তার পরিবারের মানুষের সহযোগিতায় অভিযোগ করেন র‌্যাব ৬ এর অধিনায়ক বরাবর মৌতলা গ্রামের দেবর আছানউল্লা মুন্সির ছেলে আব্দুর রহমান(৩৫), লালু শেখের ছেলে ফারুক (৩৫) উপর ধর্ষনের অভিযোগ এবং মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে বাবু মুন্সি (৭০) তার স্ত্রী লূতফার নেছা (৬৫), ও মিলন মুন্সির স্ত্রী সাহানা বেগমের (২৭) উপর শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগে এনে র‌্যাবের দপ্পরে বিচার প্রর্থনা করে। এরপর তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শ্যামনগর সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার শারিরীক অবস্থার অবনতির কারনে তাকে রবিবার তার বাবার বাড়ি নিয়ে আসে স্বজনরা। নির্যাতনের শিকার আনোয়ারা বেগম নির্যাতনকারী এবং ধর্ষনকারীদের বিচার না দেখেই অবশেষে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সময় মৃত্যুর কাছে পরাজিত হয়। এবিষয়ে আনোয়ারার ছোট ভাবি ও স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন তার ননদকে রহমান ও ফারুক ধর্ষণ করে ছিল এবং অন্যরা তাকে বেধরক মারপিট করায় অসুস্থ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। রহমান ও ফারুকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে থানায় অভিযোগ ছাড়া বাবার বাড়িতে বুধবার দুপুরে আনোয়ারার দাফন সম্পন্ন করেছে তার স্বজনরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ষক রহমান বলেন আমি মারধর করেছি কিন্তু ধর্ষণ করিনি আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এদিকে চাচিকে মারধর ও ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন চলছে। লাশ কবর থেকে উঠিয়ে ময়নাতদন্ত করালে মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা করছে এলাকার সচেতন মহল।