ফিচার

নাশকতার পরিকল্পনাকালে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষকসহ ৭ জামায়ত নেতা-কর্মী গ্রেফতার

By Daily Satkhira

October 13, 2017

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনাকালে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষক ও জামাত নেতা প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম বাপ্পীসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের চৌরঙ্গী মোড় এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর আলম খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার কালনা গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে। তিনি বর্তমানে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল চৌরঙ্গী এলাকায় বসাবাস করেন। তিনি সাতক্ষীরা সিটি কলেজের দর্শণ বিভাগের প্রভাষক। গ্রেফতারকৃত অন্যান্য আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের আব্বাসউদ্দিনের ছেলে আকরামুজ্জামান (৫৫), একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (২৪), একই উপজেলার আমতলা বল্লী গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে মিজানুর রহমান পিকলু (৪৫), বালিয়াডাঙা গ্রামের পরান সরদারের ছেলে আবু তালেব সরদার (৫৩), ওয়ারিয়া গ্রামের বাবর আলী শেখের ছেলে আলতাফ হোসেন (৪০) ও শহরের রসুলপুরের আইয়ুব আলী গাজীর ছেলে সোহরাব হোসেন (৪০)। এদিকে পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম বাপ্পিকে গ্রেফতারের পর তার ঘনিষ্ঠ কলেজ প্রশাসন ও সরকারদলীয় নেতাদের একটি চক্র কলেজের জামায়াতপন্থী কয়েকজন শিক্ষককে দিনভর দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায়। সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, জামায়াত বৃহষ্পতিবার দেশব্যাপী হরতাল ডাকে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের পলাশপোল চৌরঙ্গী এলাকায় বিশেষ টহল দিচ্ছিল পুলিশ। এ সময় ওই এলাকায় হরতাল উপলক্ষ্যে নাশকতা সৃষ্টির পকিল্পনা করছিল জামায়াত শিবিরের লোকজন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় সিটি কলেজের প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম বাপ্পিসহ(৪০) সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে স্থানীয় একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীর আলম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার সময় ছাত্র শিবিরের নেতৃত্ব দিতেন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে জামায়াত শিবিরের নাশকতার সময় আইএফআই ব্যাংকে তার নিজ হিসাব নম্বর দলীয় টাকা জমা ও খরচ করার জন্য ব্যবহার করা হতো। যুদ্ধাপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলায় কারাগারে আটক জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল খালেকের সুপারিশে তিনি সিটি কলেজের প্রভাষক পদে নিয়োগ পান। এরপর থেকে তিনি নিজেকে কৌশলে আড়ালে রেখে জামায়াতের কর্মকা-কে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে বৃহষ্পতিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।