ফিচার

‘১৫ আগস্টের ভাতের হাড়িতে লাথি মারা মহব্বত এখন পরিবহন শ্রমিক লীগ নেতা’

By Daily Satkhira

October 16, 2017

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিগত জোট সরকার আমলে আখতারুজ্জামান মহব্বত একজন বিএনপি ক্যডার হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান হত্যা মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি। অথচ ভোল পাল্টে তিনিই এখন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। সাতক্ষীরা জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মীর মনিরুজ্জামান ও জাহিদুর রহমান রোববার সাতক্ষীরায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেছেন। তারা আরও বলেন, ২০০৬ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে বাস টার্মিনালে আমরা কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করলে আকতারুজ্জামান মহব্বত ভাতের হাড়িতে লাথি মেরে ফেলে দেন। চুলোয় পানি ঢেলে দেন। বলেন, “শেখ মুজিবের জন্য কোনো আয়োজন এখানে হবে না।” ৭ অক্টোবর আক্তারুজ্জামান মহব্বতের এক সংবাদ সম্মেলনের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে মীর মনিরুজ্জামান একথা বলেন। তিনি আরও বলেন মহব্বত ইউনিয়নের সেক্রেটারি থাকাকালে ইউনিয়নকে মাদকের আখড়ায় পরিণত করেছিলেন। তিনি ও তার সহযোগীরা ফেনসিডিল সেবন ও ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া সাধারণ শ্রমিকদের নির্যাতন করা, ইউনিয়নের অর্থ আত্মসাতের সাথেও জড়িত ছিলেন তিনি। চাপড়া লাইনে থাকা ইউনিয়নের একটি বাস ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় একটি ভাঙ্গাচোরা গাড়ি ক্রয় করেন মহব্বত । এসব টাকার কোনো হিসাব তিনি দেননি। ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম রবিকে আট বছর যাবত কোনো কার্ড দেন নি তিনি। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের সুপারিশও নেননি তিনি। তিনি তিন শতাধিক শ্রমিকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার করে টাকা নেন লাইসেন্স করে দেওয়ার নামে। তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মধ্যে একটি ট্রাক ও দুটি বাস ইউনিয়নের নামে ক্রয় করেছি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় প্রতি ছয় মাস অন্তর পরিচয়পত্র নবায়ন করতে হয়। তবে পরাজিত প্যানেলের কর্মকর্তাদের বেশির ভাগ ইউনিয়ন অফিসে এসে নবায়ন করলেও মহব্বত ও তার কয়েকজন সহযোগী আসেননি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মহব্বত রবি মশিয়ার কয়েক হাজার অশ্রমিককে সদস্য বানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে যাচাই বাছাই করে তাদের অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মনিরুজ্জামান ও জাহিদুর রহমান আরও বলেন মহব্বত আট বছর, রবি মশিয়ার ৬ বছর এবং লিয়াকতহোসেন ২৩ বছর ইউনিয়ন চালিয়েও কোনো হিসাব দেননি। তারা সম্পদের পাহাড় গড়ে বসে আছেন। আমাদের হিসাব সাধারন সভায় পেশ করা হবে বলে জানান তারা। আগামি ডিসেম্বরে সাতক্ষীরা জেলা মালিক সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে ব্যবহার করার জন্য একটি মহল শ্রমিকদের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে। বাস টার্মিনালে বেশ কিছু দস্যু প্রকৃতির লোকের আনাগোনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারা যে কোনো অঘটন ঘটাতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন মনি ও জাহিদ। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিদুল ইসলাম মধু, তৌহিদুর রহমান, আবদুস সামাদ, মোজাফফর, স্ইাফুর রহমান,সুমন মুকুল, হামিদুল, শাহিনুর রহমান প্রমুখ শ্রমিক নেতা।