শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দুটি ম্যাচেই হেরে হতাশ হতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। তবে ওয়ানডে সিরিজে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল। প্রথম ম্যাচে ৮৩ রানের বড় জয়ের পর সোমবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও পাকিস্তান পেয়েছে ৩২ রানের দারুণ জয়। এই জয় দিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
আবুধাবিতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াইটা হয়েছে মূলত দুই দলের দুই সেঞ্চুরিয়ান বাবর আজম ও উপুল থারাঙ্গার মধ্যে। শুরুতে ব্যাটিং করে বাবর আজমের ১০১ রানের দারুণ শতকের সুবাদে স্কোরবোর্ডে ২১৯ রান জমা করেছিল পাকিস্তান। শেষ পর্যায়ে সাদাব খানের ৫২ রানের হার না মানা ইনিংসটিও ভালো অবদান রেখেছে পাকিস্তানের এই সম্মানজনক স্কোরটির পেছনে।
২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার পক্ষে প্রায় একাই লড়েছেন অধিনায়ক থারাঙ্গা। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে ১১২ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছেন লঙ্কান দলনেতা। একাই দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের কাছাকাছি। কিন্তু তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে জেফ্রি ভ্যান্ডারসে খেলেছেন ২২ রানের ইনিংস। থারাঙ্গার পর তাঁর এই ২২ রানই ছিল শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ। ১২ ও ১০ রানের ছোট্ট দুটি ইনিংস এসেছে লাহিরু থিরিমান্নে ও কুশাল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে। শ্রীলঙ্কার আর কোনো ব্যাটসম্যানই পেরোতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা।
শেষ পর্যন্ত ৪৮ ওভার ব্যাটিং করে ১৮৭ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। অধিনায়ক থারাঙ্গা শেষ পর্যন্ত ১১২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে দারুণ বোলিং করে তিনটি উইকেট নিয়েছেন সাদাব খান। ব্যাট হাতে ৫২ রান ও বল হাতে তিনটি উইকেট নেওয়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন এই তরুণ অলরাউন্ডার।
আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে। এই ম্যাচ জিতলে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নেবে পাকিস্তান। অন্যদিকে, সিরিজ হার এড়ানোর জন্য জয়ের কোনো বিকল্প নেই শ্রীলঙ্কার।