কলারোয়া

কলারোয়ায় আ.লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা

By Daily Satkhira

October 18, 2017

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়ায় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের দিনভর টানটান উত্তেজনার মধ্যে চন্দনপুর হাইস্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীনের হস্তক্ষেপে ভোট সম্পন্ন হলে দু’গ্রুপের টানটান উত্তেজনা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ফিরে আসে। উপজেলা নির্বাহী অফিস সুত্রে জানা যায়- উপজেলার চন্দনপুর হাইস্কুলের সভাপতি হিসাবে ইতিপূর্বে মফিজুল ইসলাম নির্বাচিত হন। মফিজুল ইসলাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিআরডিবির অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। সরকারি বিধি মোতাবেক কোন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হতে পারেন না। কিন্তু মফিজুল ইসলাম যশোর শিক্ষা বোর্ডে তথ্য গোপন করে সভাপতি মনোনীত হন। বিষয়টি যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ সত্যতার প্রমাণ পেয়ে গত ১০ অক্টোবর মফিজুল ইসলামের সভাপতির পদ বাতিল করেন এবং প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নির্বাচনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রধান শিক্ষক আনছার আলীকে নির্দেশ দেন। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার অভিভাবক সদস্যরা সভাপতির নির্বাচনের পদক্ষেপ গ্রহণ করলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন গ্রুপের অভিভাবক সদস্য আব্দুল হামিদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট নির্বাচনে পরিবেশ নাই উল্লেখ করে একটি লিখিত আবেদন করেন। এ ঘটনায় উপজেলার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুর গ্রুপের ৭ জন সদস্য নির্বাচনে পরিবেশ আছে উল্লেখ পাল্টা একটি লিখিত আবেদন করেন। বিষটি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক ভোট বন্ধ করেন। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের সমর্থকরা উপজেলার চত্বরে অবস্থান নিয়ে মহড়া দিতে শুরু করে। এরপর পরিস্থিতি ঘোলাটে মনে করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন সমাধানের লক্ষ্যে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার সন্দীপ কুমার মন্ডলকে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেন। তাৎক্ষণিকভাবে সরেজমিনে তদন্ত করে বিকাল ৫ টার দিকে সন্দিপ কুমার নির্বাচনের পরিবেশ আছে উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস কক্ষে নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হলে ৮ জন অভিভাবক সদস্যের মধ্যে ৭জন উপস্থিত হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুকে ভোট দিয়ে চন্দনপুর হাইস্কুলে পরিচালনার পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত করেন। এরপর উভয় গ্রুপ স্ব-স্ব স্থানে চলে যান এবং পরিস্থিতি শান্ত হয়।