কালিগঞ্জ ব্যুরো: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, আমরা মাছে ভাতে বাঙালী। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন মাছ হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল। সেই লক্ষ্য অর্জনে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন উদ্যোগ করেছেন। এখন দেশের মানুষ মাছ চাষ ও গবাদি পশু প্রতিপালন করে নিজেদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বেলা ২ টায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে নবনির্মিত কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রের ভবন আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীনের সভাপতিত্বে নবনির্মিত ভবনের ফলক উন্মোচন শেষে আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা অঞ্চলের মানুষ অনেক দক্ষ। তারা ধান চাষ, মাছ চাষ, ফল ও দুধ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে। কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রে চাষীদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার পাশাপাশি জেলায় একটি আধুনিক মানের দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দীন। যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার ও কলারোয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এএসএম আতিকুজ্জামানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কালিগঞ্জ ইউনিটের কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান প্রমুখ। আরও বক্তব্য রাখেন ধলবাড়িয়ার মৎস্য খামারী হাসিনা খাতুন ও দক্ষিণ শ্রীপুরের গোবিন্দকাটি পোল্ট্রি ভিলেজের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সরকার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুশলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শেখ মেহেদী হাসান সুমন, বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার, মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এফএ (এআই) ডা. শেখ আমিরুল ইসলাম, ইউএলএ মুজিবর রহমান, ভিএফএ সালাউদ্দীন ও রবিউল ইসলাম, দেবহাটার এফএ (এআই) শফিকুল ইসলাম, আশাশুনির এফএ (এআই) পরিতোষ কুমার মন্ডল প্রমুখ। ৯৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাহিদ ইকবাল।