শাকিলা ইসলাম জুঁই : সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনির দক্ষিণ প্রান্তে সুন্দরবন ঘেষা চারিদিকে নদী বেষ্টিত একটি ব-দ্বীপের নাম প্রতাপনগর ইউনিয়ন। ভৌগলিক দিক দিয়ে এক সময় এই প্রতাপনগর ইউনিয়নের মানুষদেরকে শহরের লোক দেখলে বলতো বাংলাদেশর বিচ্ছিন্ন ব-দ্বীপের মানুষ। কারণ জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা এতটাই নাজুক ছিল যে সেখানকার মানুষদের নৌকা ও বিভিন্ন পরিবহন যোগে ও পায়ে হেঁটে নদ-নদী খাল বিল পাড়ি দিয়ে সাতক্ষীরা জেলা শহরে আসতে সময় লাগত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের এই একটানা ৮বছরের উন্নয়নের ছোয়ায় বদলেগেছে দুর্গম প্রতাপনগর ইউনিয়ন। যেখানে আগে কখনো মানুষ জানত না বিদ্যুৎ কি। সেখানে শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে এখানকার মানুষ। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়ায় অধিকাংশ মানুষের বাড়িতে এখন টিভি, ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক পাখার সুবিধা মিলেছে। এখানে ব্রিজ, কালভাট, রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়নসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন স্বাধিত হয়েছে। এখন প্রতাপনগর থেকে সরাসরি যে কোন পরিবহনযোগে বড়দল হয়ে কাদাকাটি ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া ব্রিজের উপর দিয়ে জেলা শহরে আসতে সময় লাগছে মাত্র ১ থেকে দেড় ঘণ্টা। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে। বিশেষ করে চিংড়ী ও কাঁকড়া শিল্পের বিপ্লব ঘটেছে। প্রতিটা ওয়ার্ডে গভীর নলকুপ স্থাপনের মাধ্যমে সুপেয় পানির ব্যবস্থা হয়েছে। নির্মাণ হয়েছে ছয় ছয়টি সাইক্লোন সেল্টার। দুর্গম এলাকা হলোও স্বাস্ব্য সেবা নিশ্চিতের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। সেখান থেকে এলকার সাধারন মানুষ সরকারিভাবে ঔষধ ও স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন। আর এসব সম্ভব হয়েছে সাতক্ষীরা-৩ আসনের এমপি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ. ফ. ম রুহুল হকের কল্যাণে। তার একক প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এলাকার উন্নয়ন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ম-লীর অন্যতম সদস্য এবং জাতীয় সংসদের তথ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি দেশ বরেণ্য শৈল চিকিৎসক ডা. রুহুল হক এমপির কল্যাণে প্রতাপনগর ইউনিয়ন এখন দুর্গম এলাকা নয় আওয়ামীলীগের ঘাঁটিও বটে। এখানকার বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, বর্তমান সরকারের আমলে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী আনুলিয়া ও শ্রীউলা ইউনিয়নে যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিগত আর কোন সরকারের আমলে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। আর এটি সম্ভব হয়েছে ডা: আ. ফ. ম রুহুল হক এমপির একান্ত চেষ্টার কারনে। তিনি আরও জানান, নদী বেষ্টিত ইউনিয়ন প্রতাপনগর। এখানকার প্রধান সমস্যা নদী ভাঙ্গন। রুহুল হকের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং এর মাধ্যমে ভাঙ্গনকুল কুলা, কুড়িকাউনিয়া, চুইবাড়িয়া বেড়িবাঁধ কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে মেরামত করা সম্ভব হয়েছে। ডা: রুহুল হক এমপির প্রচেষ্টায় হলদিপোতা টু প্রতাপনগরে নির্মাণ হয়েছে কার্পেটিং এর রাস্তা। এছাড়া কল্যাণপুর ২ কিলোমিটার রাস্তা, এপিএস কলেজ হতে বকুলনগর সাড়ে ৭ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। ঝড় জল্লোচ্ছ্বাস থেকে রেহায় পেতে উপকূলীয় এই মানুষের জন্য নতুন করে কুড়িকাউনিয়া, কুলা ও হিজলিয়ায় তৈরী করা হয়েছে স্কুল কাম সাইক্লোন সেল্টার। এছাড়া নাকনা, সোনাতনকাটি, গোকুলনগর, কুড়িকাওনিয়া ও প্রতাপনগরে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে গড়িমহল ব্রিজজ নির্মাণ করেদিয়েছেন রুহুল হক। এছাড়া স্কুল,কলেজ,মসজিদ,মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন করে এমপি রুহুল হক এলাকার মানুষের কাছে যেমন নন্দিত হয়েছেন তেমনি নিজেকে রেখেছেন অনেক উচ্চতায়। এখন অন্য রাজনৈতিক দলের সমর্থক ও নেতাদের মুখে রুহুল হকের উন্নয়নের কথা অনায়াসে উঠে আশছে। এলাকার মানুষের কাছে দুর্গম প্রতাপনগর এখন একটি মডেল ইউনিয়ন। তাই আশাশুনির উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে হলে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা: আ. ফ. ম রুহুল হকের বিকল্প নেই। তাই আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আশাশুনিবাসী শুধু এমপি হিসাবে নয় মন্ত্রী হিসাবে আবারও দেখতে চায় তাকে।