আন্তর্জাতিক

৪০ বছর পর আবারও রোহিঙ্গা শরণার্থী ফজল

By Daily Satkhira

October 19, 2017

জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে এবার স্ত্রী সন্তানসহ ৪০ বছর পর এবার তিনি আশ্রয় নিয়েছেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।

ফজল আহমেদ বলেন: আমি আর মানতে পারছিনা। এর আগেও সহিংসতার কারণ দেখিয়ে ১৯৭৮ সালে বৌদ্ধরা আমাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করে। মিয়ানমার আর্মি যুবকদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে কাউকে হত্যা করে আবার কারও কারও জন্য মুক্তিপণ দাবি করে।

বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবেশি রোহিঙ্গাদের দুর্দিনে মানবিক কারণে দুই মাসের কম সময়ে আসা পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরনার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও শুরু থেকেই তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে জোর তৎপরতা চালিয়ে আসছে। এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে থাকায় অং সান সু চির দফতরের একজন মন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি মাসেই মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

এই ইস্যুতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। তারা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর মানবতাবিরোধী অপরাধ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাই মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং সহ সকল সেনা কর্মকর্তার ইউরোপে সব ধরনের আমন্ত্রণ স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

সম্প্রতি লুক্সেমবুর্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে পররাষ্ট্র বিষয়ক কাউন্সিলে এই প্রস্তাব পাস হয় বলে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়।

ইউরোপের দেশগুলোর জোটের বৈঠকে পাস হওয়া প্রস্তাবে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর বলপ্রয়োগের আলোকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর সদস্য দেশগুলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং জ্যেষ্ঠ অন্যান্য সেনা কর্মকর্তাদের সব আমন্ত্রণ স্থগিত করবে।

পাশাপাশি মিয়ানমারে সঙ্গে যেসব প্রতিরক্ষা চুক্তি ইউরোপের দেশগুলোর রয়েছে, তা পর্যালোচনার কথাও জানিয়েছে ইউরোপীয় কাউন্সিল। অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ দমনে ব্যবহারে মিয়ানমারকে সমরাস্ত্র সরবরাহে যে বিধি-নিষেধ রয়েছে, এই পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটালে তা আরও কঠোর করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো।