ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের দুদলী গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এক ব্যাক্তিকে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে হাত পা বেধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার সময় নির্যাতনের ও মারধরের শিকার ব্যাক্তি হলেন উপজেলার দুদলী ইউনিয়নের মৃত মোরশেদ আলীর ছেলে বাবর আলী (৪৫)। নির্যতন কারীরা হলেন একই এলাকার মৃত গহর আলী তরফদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৮)এবং তার সহযোগী রউফ তরফদারের ছেলে বাবু তরফদার (৪০), বিলাত তরফদারের ছেলে হবি তরফদার, শফি তরফদার সহ ১০ থেকে ১৫ জন তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় আম গাছের সাথে বেধে মারধর করে । প্রত্যক্ষ দর্শী সুত্রে জানা যায় বাবর আলী ও রফিকুল গংয়ের সাথে কৃষি আবাদ জমির সিমানা নিয়ে দীর্ঘদীন বিরোধ চলছিল বৃহস্পতিবার সকালে বাবর আলী জমির সিমানায় বেড়া দিতে যেয়ে দুই পক্ষের মধ্য বাক বিতন্ডতা শুরু হয় । এক পর্যয়ে বাবর আলীকে তার স্ত্রী সামনে থেকে ধরে নিয়ে আম গাছের সাথে দড়ি দিয়ে দুই হাত পা বেধে তার উপর মারধর ও অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এসময় বাবরের স্ত্রীর চিৎকারে স্থানিয়রা এসে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গাছের সাথে বাধা বাবরকে উদ্ধার করে। স্থানিয়রা বিষয়টি থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হককে জানালে তিনি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান ও ফয়সাল হোসেনকে ঘটনা স্থলে পাঠিয়ে দেন। এসময় পুলিশ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ঘটনা স্থল থেকে রফিকুল ও বাবুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং বাবর আলীকে অসুস্থ অবস্থায় কালিগঞ্জ সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এ বিষয়ে বাবর আলী বলেন আমাকে গাছের সাথে বেধে তারা বেধরক মারপিট করেছে বলে সাংবাদিকদের জানান। এবিষয়ে কালিগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই মুহুর্তে দুইজনকে থানায় নিয়ে এসে ছিলাম নির্যাতনের শিকার ব্যাক্তি থানায় অভিযোগ না দিয়ে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করবে বলে জানিয়েছে এজন্য দুইজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নির্যাতনের শিকার বাবর আলীর চাচাত ভাই মুজিবর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা নিজেরা মীমাংসা করে নিয়েছি এ নিয়ে সাংবাদিকদের লেখালেখি না করার জন্য অনুরোধ জানান।