আশাশুনি

৪৪ বছর পর সম্পত্তি ফিরে পেল বড়দল ইউপি

By Daily Satkhira

October 20, 2017

বড়দল প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৪৪ বছর পর নিজ সম্পত্তি দখলে নিয়ে পরিষদের উপকার্যালয়ের সাইনবোর্ড তুললো আশাশুনির ৫নং বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ কতৃপক্ষ। বুধবার সকালে আশাশুনি থানা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, জিএম আব্দুল গনি, সাবুদ আলী গাজী, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ পরিষদের সকল গ্রামপুলিশের উপস্থিতিতে পরিষদের উপকার্যালয়ের সাইনবোর্ডটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে উক্ত সম্পত্তিতে অবৈধ্য দখলদারের নিকট হতে ভাড়া নিয়ে গোয়ালডাংগা গ্রামের ভাংড়ি ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ, ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও চা বিক্রেতা হারুন সরদার ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, তৎকালীন চেয়ারম্যান কেয়ারগাতি গ্রামের আশরাফ উদ্দীন মকবুল পরিষদের কার্যক্রমের সুবিধার জন্য গোয়ালডাংগা বাজারের আশে-পাশে কোন একটি স্থান সংগ্রহের চিন্তা ভাবনার কথা সকলকে জানান । তখন গোয়ালডাংগা গ্রামের মৃত: আমিন উদ্দীন গাজীর স্ত্রী আয়ফুল বিবি চাম্পাখালী মৌজায় গোয়ালডাংগা বাজারের ত্রিমুখি সংযোগ সড়কের পূর্বপাশে তার নামীয় ১০শতক জমি দান করতে সম্মত হন। সে মোতাবেক তিনি ১৯৬৪ সালে ৪২৫ নং খতিয়ানে ৭০/৭২১ নং দাগে তার ১০ শতক সম্পত্তি পরিষদের নামে দানপত্র করে দেন। এরপর কিছুদিন সেখানে পরিষদের কার্যক্রম চলে। ১৯৭৩ সালে মাদিয়া গ্রামের জাসদ নেতা কার্ত্তিক চন্দ্র মন্ডল পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে পরিষদ বড়দল বাজারে স্থানান্ত্রিত হয়। সেই থেকে পরিষদের জমিও ধিরে-ধিরে দাতাদের দখলে চলে যায়। আয়ফুল বিবির পুত্র খানজাহান আলী গাজী উক্ত সম্পত্তিতে তার নির্মিত ৩টি দোকান উল্লেখিত ৩ ব্যবসায়ীর নিকট ভাড়া দেন। বর্তমানে আব্দুল আলিম পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তিনি উক্ত জমিটি উদ্ধারে তৎপর হন। ২৮ আগস্ট-২০১৭ উপজেলা খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির সভায় তিনি এ ব্যাপারে প্রস্তাব করলে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সুষমা সুলতানা তহশীলদার দিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর উক্ত জমির সীমানা নির্ধারন করেন। বুধবার উক্ত সম্পত্তিটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রায় ৪৪ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।