আপনি যদি ওজন কমানোর চিন্তায় থেকে থাকেন এবং আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে থাকেন তাহলে কিছু খাবার কোন ধরণের চিন্তা ছাড়াই খেতে পারেন।
আরও কিছু খাবার রয়েছে, যা কোন ধরণের চিন্তা ছাড়াই আপনি খেতে পারবেন এবং এতে করে বাড়তি ওজনের কোন ভয় থাকবে না। কারণ এসব খাবারের ৭৫ শতাংশ পানি দিয়েই তৈরি। আসুন জেনে নেয়া যাক সে সকল খাবারের তালিকা-
১. ফুলকপি: অবাক লাগলেও সত্যিই ফুলকপি ওজন কমাতে সাহায্য করে। লো ক্যালোরি খাবার হওয়ার পাশাপাশি এতে ফাইবারও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। তা ছাড়াও এতে ইন্ডোল, গ্লুকোসাইনোলেট এবং থায়োসাইনেট রয়েছে যা শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও সাহায্য করে।
২. কুসুমহীন ডিম: সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, সকালের নাশতায় ডিম খেলে তা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি ১২, যা দ্রুত চর্বি কমাতে সহায়তা করে। যারা নিয়মিত ডায়েট করেন, তারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে ডিম রাখতে পারেন। তবে ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলা ভালো।
৩. অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল হচ্ছে ৮৫ শতাংশ অয়েলিক এসিড, যা পরিপাক প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ অলিভ অয়েল খাওয়ার অভ্যাস করলে তা শরীরে মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৪. মধু ও লেবু: মধু ও লেবু আসলেই যে কার্যকরী, তা পরীক্ষিত এবং সারা বিশ্বে সমাদৃত ও স্বীকৃত। ওজন কমাতে দুটি প্রাকৃতিক উপাদান লেবু ও মধুর সম্পর্কে অনেকেই জানেন। ওজন কমানো ছাড়াও লেবু ও মধুর অনেক গুণাগুণ আছে। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে। শরীরের ভেতরের নালীগুলোর সব ময়লা বের করে দেয়। মেটাবলিজম/হজম শক্তি বাড়ায়, ফলে ওজন কমে। ঠাণ্ডা লাগলে লেবু ও মধুর কফ বের করতে সাহায্য করে এবং ঠাণ্ডা লাগলে গলাব্যথা করলেও এটি উপকারী । এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৫. ক্যাপসিকাম: ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি খুব সহজে ও খুব দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে। লাল, হলুদ কিংবা সবুজ যে কোন ধরণের ক্যাপসিকাম খেতে পারেন রান্নায় ব্যবহার করে। সব থেলে ভালো উপায় হচ্ছে সালাদে ক্যাপসিকাম খাওয়া। ওজন কমতে বেশ সাহায্য করবে।
৬. টমেটো: টমেটো খেলে শরীরে কোলেসিসটোকিনিন নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় যা স্টম্যাক এবং ইনটেস্টাইনের মধ্যে যে ভাল্ভ রয়েছে তা টাইট করে দেয়। ফলে পেট ভর্তি লাগে। তাই অনায়াসেই ওভারইটিং এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। আর প্রয়োজনের অতিরিক্ত না খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে না।
৭. দারুচিনি: ওজন কমাতে দারুচিনি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। এটি শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত দারুচিনি খেলে খিদে কমে যায় এবং মেদ গলতে শুরু করে। পেটের রোগ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, টাইফয়েড, যক্ষ্ণা এবং ক্যান্সারেও দারুচিনি উপকারি। ১ থেকে ৪ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো বিপাকে দ্রুত ভূমিকা রাখে, যা শরীরে সামগ্রিকভাবে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দেয়।