নিজস্ব প্রতিনিধি : জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় মামলায় সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের এস আই মোমিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স শ্রীরামপুরের রশিদ তরফদার নামে এক জামায়াত কর্মীকে গত বৃহষ্পতিবার রাতে শহরের মুনজিত এলাকা থেকে আটক করেছে। সে সদর উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার জহির উদ্দিন তরফদারের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শ্রীরামপুর চৌকিদারপাড়া এলাকার আব্দুল গফুর তরফদারের সাথে এজমালি সম্পত্তি নিয়ে একই এলাকার মৃত জহির উদ্দীন তরফদারের পুত্র আব্দুর রশিদ তরফদারের সাথে বিরোধী চলে আসছিল। এ সুত্র ধরে সোমবার দুপুরে আব্দুর রশিদ তরফদার ও তার দুই পুত্র পুত্র রেজাউল তরফদার, তরিকুল তরফদার আকর্ষ্মিক ভাবে গফুরের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এসময় তার ছেলে ইউনুস ও স্ত্রী ফিরোজা বেগম এগিয়ে আসলে তাদের কেউ মারপিট করে গুরুতর জখম করে এবং ফিরোজা বেগমের কাপড় চোপড় টেনে শ্লীলতাহানি ঘটায়। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে আহতরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে এঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে হামলাকারীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া হামলাকারী রেজাউল তরফদার তাদের কে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ফিরোজা বেগম। উল্লেখ্য হামলাকারী রেজাউলের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। গত ২০১৫ সালের ১৫ আগস্ট আবুল নামের একব্যক্তি মারপিট করে টাকা ছিনিয়ে নেয় রেজাউল। এঘটনায় আবুল হোসেন বাদী হয়ে সদর থানা একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে শ্রীরামপুরের একাধিক এলাকাবাসী জানিয়েছে, রশিদ বিগত ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী পরবর্তী সময়ে এলাকায় জামায়াতের এজেন্ট হিসাবে কাজ করত। সে এলাকায় রাস্তা কাটা, গাছ ফেলে চলাচলে বিঘœ ঘটানোসহ শ্রীরামপুর এলাকার আ’লীগ সমার্থক ব্যক্তিদের উপর হামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করত। এব্যাপারে ভূক্তভোগীরা জেলা পুলিশের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।