শিক্ষা

জলাবদ্ধতায় বিপাকে যোগরাজপুর ক্লাস্টারের পরীক্ষার্থীরা

By Daily Satkhira

October 22, 2017

জি. এম আবুল হোসাইন : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের যোগরাজপুর ক্লাস্টারের অধীনে মোট ৪টি কেন্দ্রে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার চুড়ান্ত মডেল টেস্ট। এর মধ্যে কয়েকটি উপ-কেন্দ্রে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার ফলে বিপাকে পড়েছে পরীক্ষার্থীরা। এর মধ্যে অন্যতম উপ-কেন্দ্র বলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উপ-কেন্দ্রে শনিবার সকালে সেখানকার চিত্র দেখলে মনে হয়, এটি কোন স্কুলের মাঠ নয়, বরং মাছ চাষের আবাদ। এই কেন্দ” ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১শত ৩৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। টানা বর্ষণের কারণে স্কুলের মাঠটি এখন পানিতে টইটম্বুর। ফলে স্কুলের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে হাঁটু পানি পার হয়ে পরীক্ষার্থীদের পরিক্ষার হলে প্রবেশ করতে হচ্ছে। অল্পের জন্য পরিক্ষার হলে পানি প্রবেশ করেনি। তবে স্কুলের বারান্দা অবধি পানিতে ভরপুর। ৫ম শ্রেণির পরীক্ষার্থী ফেরদৌস, হালিমা, ইতি, ইউসুফ সহ আরো অনেকে জানান, জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের পরিক্ষার হলে পৌঁছাতে অসুবিধা হচ্ছে। অনেক সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে জামাকাপড় ও প্রবেশপত্র ভিজে যায়। ছয়ঘরিয়া বলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফয়জুর করিম বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে পা পিছলে পড়ে প্রবেশপত্র সহ অন্যান্য উপকরণ নষ্ট হচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক। মাধবকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও হল সুপার মো. আছাদুল হক বলেন, একে তো জলাবদ্ধতার সমস্যা, তার উপর পরীক্ষার্থীদের তুলনায় পর্যাপ্ত হল রুমের ঘাটতি। বলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. আবুল কালাম আসাদ বলেন, পানি নিস্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে স্কুল মাঠটি পানিতে তলিয়ে থাকে। স্কুলের মাঠ ১ থেকে দেড় ২ ফুট পানিতে তলিয়ে থাকে। ফলে পানি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত মাঠটি ব্যবহার করা যায়না। এজন্য শুকনো মৌসুমে স্কুল মাঠে মাটি ভরাট ও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা না হলে আগামীতে এখানে পরিক্ষা কেন্দ্র করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল খায়ের বিশ্বাস বলেন, স্কুলে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীদের অনেক অসুবিধা হয়। এ ব্যাপারে আমি ইউপি মেম্বর ও চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। কিন্তু কোন লাভ হয় নি। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এ ব্যাপারে যোগরাজপুর ক্লাস্টারের উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বাসুদেব সানার ব্যবহৃত ০১৭০৮-৩৯৯০১৮ নম্বরে একাধিকবার যোাগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় অভিভাবকসহ সচেতন এলাকাবাসী।