অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে ২৬টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। বৈঠক ও সমঝোতা স্মারক সই শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব আরো সামনে এগিয়ে যাবে। ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দুই দেশের মধ্যে সমঝোতার ২৬টি চুক্তি আমরা সাক্ষর করেছি। উচ্চ পর্যায়ের অনেকগুলো বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার কথা আলোচনা করেছি আমরা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন ছিলো বঙ্গবন্ধুর সেই পথে আমরা অনেকটাই এগিয়েছি। সেই স্বপ্ন পূরণেও বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব সহায়ক হবে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হবো আর ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ। সেসব স্বপ্ন পূরণের দিকেও এগিয়ে যাবো আমরা। শুক্রবার বিকাল তিনটায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি প্রথমে একান্ত বৈঠক ও পরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেন। বৈঠক শেষে দু’দেশের মধ্যে প্রায় ২৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর হয়। বিকালে হোটেল লা মেরিডিয়ানে জাতীয় সংসদের স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সাক্ষাত করবেন চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। সন্ধ্যা ছয়টায় তিনি যাবেন বঙ্গভবনে। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠকের পর যোগ দেবেন রাষ্ট্রীয় ভোজসভায়। শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে যাবেন সাভারে। জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি। সকাল দশটায় বিশেষ বিমানযোগে ভারতের গোয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন চীনা প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বিদায় জানাবেন। শি জিনপিং এর সফরে মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা কর্মী, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকসহ প্রায় দু’শ সফরসঙ্গী রয়েছেন। শুক্রবার সকাল ১১টা ৩৬ মিনিটে নমপেন থেকে বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইটযোগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান ও এশিয়ার শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছলে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। প্রায় ২২ ঘণ্টার সফরে ঢাকা এসে পৌঁছালে বিমানবন্দরে ২১ বার তোপধ্বনি, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, সালাম গ্রহণ, গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। গত তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসলেন চীনের কোনো রাষ্ট্র প্রধান। বৈশ্বিক অর্থনীতির মোড়ল এ দেশটির শীর্ষ নেতার সফর তাই বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশের কাছে। চীনের পক্ষ থেকেও সফরকে দেখা হচ্ছে ‘মাইলফলক’ হিসেবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এর আগমন উপলক্ষে রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।