আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে জেনেভায় আজ রোহিঙ্গা সম্মেলন

By Daily Satkhira

October 23, 2017

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘের তিন মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কুয়েতের উদ্যোগে আজ জেনেভায় প্রতিশ্রুতি সম্মেলনে বসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় অর্থের একাংশ সংগ্রহ করতেই এই সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। রবিবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ-এর এক বিবৃতিতে ওই সম্মেলনকে ‘বিপন্ন মানবতার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা প্রমাণের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ সম্প্রতি প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য ৪৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে। সম্প্রতি এর তিন সংস্থার যুক্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নিশ্চিতে সীমান্ত খুলে দিয়েছে। পালিয়ে আসা মানুষদের জন্য নিশ্চিত করেছে নিরাপত্তা আর আশ্রয়। রোহিঙ্গাদের প্রতি স্থানীয়দের আর্তি আর উদারতা আমাদের হৃদয়ে নাড়া দিয়ে গেছে।’ এবার জেনেভায় মানবাধিকার সমন্বয় সংস্থা (ওসিএইচএ), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘের শরণার্থী কমিশন ইউএনএইচসিআর সম্মেলনে বসছে। ওই বৈঠকে বিভিন্ন দেশের সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করবে। ভাগ করে নেবে দায়িত্ব।

এদিকে গতকাল রবিবার ইইউ বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সম্মেলন হবে বিপর্যয়কর এক মানবিক সংকটে সাড়া দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব নেয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। কমিশনার ফর হিউম্যানিটারিয়ান এইড এন্ড ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ক্রিস্টোস স্টিলিয়াজিডেজ বলেন, এই উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের কো-হোস্ট হিসেবে ইইউ সম্মেলনের সফলতার জন্য সকল দাতাকে এ সংকট নিরসনে অবদান রাখার লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করছে।

রাখাইনের সাম্প্রতিক সহিংসতা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘের মতে, এ অঞ্চলে কয়েক দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যাক ‘শরণার্থীর’ প্রবেশ। তাদের সহায়তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় দাতব্য সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক, জাতিসংঘ ও এনজিওগুলো কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এই সহায়তাকে যথেষ্ট মনে করছে না জাতিসংঘ। গত সপ্তাহে দেওয়া জাতিসংঘের তিন সংস্থার যুক্ত বিবৃতিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা, নিরাপত্তা ও মৌলিক আশ্রয় নিশ্চিতের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, অনেক স্থানে এখনও বিশুদ্ধ পানির সুবিধা নেই। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। এতে আশ্রয়গ্রহণকারী ও স্থানীয়দের উভয়ের জন্য বৃদ্ধি পাচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

সম্মেলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও কুয়েতের দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে সে সময় বলা হয়, এই সঙ্কট সারা বিশ্বের সরকারগুলোর কাছে দায়িত্ব পালনের সংহতি ও এই দায় ভাগাভাগি করে নেয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি জয়েন্ট রেসপন্স প্লান এরই মধ্যে হাতে নেওয়া হয়েছে।