আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা নিধন করছে মিয়ানমার: জর্ডানের রানি

By Daily Satkhira

October 23, 2017

জর্ডানের রানি রানিয়া আল আবদুল্লাহ বলেছেন, মুসলিম রোহিঙ্গা জাতিকে নিধনের জন্য পরিকল্পিতভাবে এই নির্যাতন, হত্যা ও অত্যাচার চালানো হয়েছে। তাদের জন্মভূমি ও দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। বিশ্বের ইতিহাসে ওই জাতি নিধন বর্বরতম।

আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজারে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে জর্ডানের রানি রানিয়া আল আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বিশ্ববাসীকে রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান।

জর্ডানের রানি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জাস্টিস অব ল’ প্রতিষ্ঠা হলেও মিয়ানমার কোনো কিছুতেই তা মানছে না। মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন বন্ধ ও তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে বাধ্য করতে এখনই ব্যবস্থা নিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে রানি রানিয়া বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও এ দেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের প্রতি যে মানবিকতা দেখিয়েছে তা বিশ্বের ইতিহাসে উদাহরণ হয়ে থাকবে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে আজ বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারে যান জর্ডানের রানি রানিয়া আল আবদুল্লাহ। এর আগে বিশেষ বিমানে তিনি ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারে পৌঁছান। সেখান থেকে গাড়িবহরে করে কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যান। এ সময় থেকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন রানি। রাহিঙ্গারা জর্ডানের রানিকে তাদের ওপর চালানো মিয়ানমারের নির্মম অত্যাচারের বিবরণ দেন।

কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে জাতিসংঘের যেসব সংস্থা রোহিঙ্গাদের সাহায্যে কাজ করছে তাদের কয়েকটি হাসপাতাল ও স্কুল পরিদর্শন করেন জর্ডানের রানি রানিয়া আল আবদুল্লাহ। দুপুর ১২টায় পরিদর্শন শেষে ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, কক্সবাজার-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জর্ডানের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনার পর কক্সবাজারে এটি কোনো দেশের ফার্স্ট লেডির দ্বিতীয় সফর। এ আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিল এরদোয়ান।