ফিচার

ফিংড়ীর বালিথায় ২টি ভারতীয় চোরাই গরুসহ ৩ চোর আটক

By Daily Satkhira

October 23, 2017

ধুলিহর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা গ্রাম থেকে এক ইউপি মেম্বারের সহায়তায় ২টি ভারতীয় চোরাই গরু ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত আলম সাধু সহ ৩ চোর আটক হয়েছে। রোববার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ও রাতে সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়। জানা যায়, গত শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতে অবিরাম বৃষ্টির মধ্যে ভোমরা-পদ্ম শাঁখরা এলাকার ভারতীয় সীমান্তের ওপার থেকে সংঘবদ্ধ চোরের দল একটি ভারতীয় গাভী গরু ও একটি এঁড়ে বাছুর চুরি করে নিয়ে আসে। যার মূল্য প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। শনিবার দিনভর চোরেরা গরুটি বিক্রয়ের জন্য চেষ্টা করে। এ খবর গোপনে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও সাংবাদিক মোঃ রেজাউল করিম মিঠু জানতে পেরে চুরির ঘটনা সন্ধান করতে থাকে। এরই মধ্যে রোববার দুপুরে বড়খামার গ্রামের মোঃ মাজেদ আলী কারিকরের পুত্র মোঃ শুকুর আলী (২২) ও তরিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে চুরির আসল ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। শুকুর আলী জানায়, গরু ২টি ভারত থেকে চুরি করে আনা হয়েছে। বালিথা গ্রামের মোঃ বিলাত আলীর দুই পুত্র মোঃ সেলিম হোসেন (৩২) ও আব্দুল হাকিম ভন্ডু (৩৬) তাদের ইঞ্জিনচালিত আলম সাধুতে করে গরু ২টি দেবহাটার বদরতলা বাজার থেকে শনিবার ভোর রাতে বাড়ীতে এনে রাখে। সে আরও জানায়, বালিথা গ্রামের জামাত আলীর পুত্র মোঃ জাহেদ আলী (৪০), বড়খামার গ্রামের মৃত মুনতাজ আলী সরদারের পুত্র মোঃ এবাদুল ইসলাম (৩০) ও একই গ্রামের মৃত কেরামত আলী ঢালীর পুত্র মোঃ ইসহাক আলী (৪৫) আমাকে সাথে নিয়ে চুরি করতে যায়। এরই জের ধরে রোববার দুপুরে সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে সদর থানা পুলিশের এস, আই হাফিজুর রহমান-২, এ,এস,আই সাগর, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পের এ,এস,আই মোঃ সৈয়দ আলী শেখ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে সেলিম হোসেন ও আব্দুল হাকিম ভন্ডুর বাড়ি থেকে চোরাই ভারতীয় গরু ২টি উদ্ধার করে এবং তাদের বাড়ী থেকে চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি ইঞ্জিনচালিত আলম সাধু পুলিশ জব্দ করে নিয়ে যায়। এছাড়া পরবর্তীতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চুরির সাথে সু-নির্দিষ্ট জড়িত থাকার অভিযোগে জাহেদ আলী, সেলিম হোসেন ও শুকুর আলীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আটককৃত আসামীরা পুলিশের কাছে পলাতক কয়েকজন চোরের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেছে। সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহম্মদ জানান, আটককৃত চোরেরা চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মূলত মিঠু মেম্বারের সহযোগিতা নিয়ে চুরির এতবড় একটি ঘটনা পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এসব চিহ্নিত চোরদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চোরদের কোন ধরনের ছাড় নেই। এদের সমূলে উৎপাটন করা হবে। সাতক্ষীরা থানার ডিউটি অফিসার এ,এস,আই জাহিদ সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে জানায়, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পের এ,এস,আই মোঃ সৈয়দ আলী শেখ বাদি হয়ে সাতক্ষীরা থানায় ৮ জনের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী বানিয়ে একটি চুরি মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং-৬৭, তাং-২২/১০/১৭ ইং। ধারা-৩৭৯/৪১১ দঃবিঃ। ৩ জন আটক আছে। ২টি চোরাই গরু উদ্ধার রয়েছে।