কলারোয়া ডেস্ক : গত সপ্তাহে ‘কলারোয়ায় বোবা এই ব্যক্তিটি কে?’ শিরোনামে ছবিসহ একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেই রিপোর্টের সূত্র ধরে ঐ বোবা ব্যক্তির স্বজনরা তাকে নিউজের মধ্যে উল্লেখ করা ঠিকানা অনুযায়ী চন্দনপুর কলেজ মোড় হতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হন। ওই ঘটনার কয়েক দিন পর চন্দনপুর গ্রামবাসীর অনেকে এই প্রতিবেদক জানান যে- ‘আরো একজন বয়স্ক গোঙ্গা/ বাক প্রতিবন্ধি ব্যক্তি চন্দনপুর গ্রামের উত্তর-পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদে অবস্থান করছেন।’ খোঁজ-খবর নেয়ার পর সোমবার ওই বাক প্রতিবন্ধি ব্যক্তির মুখোমুখি হয়ে তার ছবি ক্যামেরা বন্দি করা হয়। বোঝার চেষ্টা করা হয় তিনি আসলেই বাক প্রতিবন্ধি বা বোবা কিনা। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে আকারে ইঙ্গিতে কথা বলে বোঝা গেলো তিনি আসলেই বাক প্রতিবন্ধি বা বোবা, অর্থাৎ তার কথার ভাষা বোঝা যাচ্ছে না। অনেক চেষ্টায় শুধুমাত্র ‘আল্লাহ’ শব্দটি বোধগম্য হলো। তার কাছে পরিচয়পত্র বা অন্য কিছুই পাওয়া যায়নি, শুধুমাত্র পরিধেয় বস্ত্র ছাড়া। লোকটির বয়স আনুমানিক ৬৫ থেকে ৭০ বছরের মতো হবে। স্থানীয়রা জানান- সপ্তাহ দুয়েক আগে মসজিদে এসে নামাজ পড়ে শুয়ে ছিলেন তিনি। পরে কোথাও না যাওয়ায় ও তার কথা কেউ বুঝতে না পারায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে খাদ্য খাবার দেন। সেই থেকে মসজিদের পাশের বাড়ির লোকেরা তাকে ভাত খেতে দিচ্ছেন। স্থানীয়দের ধারণা- হয়তো ভারত থেকে পুশব্যাক করে ওই ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়া হয়ে থাকতে পারে। রোহিঙ্গা কিনা তা স্পষ্ট নয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বয়স্ক ওই ব্যক্তি চন্দনপুরের উত্তর-পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদে অবস্থান করছেন। আগের নিউজের ফলশ্রুতিতে যেমন সেই ব্যক্তিকে খুঁজে পেয়েছিলেন তারা স্বজনরা তেমনি এই নিউজ কিংবা পাঠকদের সহযোগিতা হয়তো এই ব্যক্তিকেও তার স্বজনদের কাছে ফিরে যেতে সহায়ক হতে পারে।