বুধহাটা প্রতিনিধি : আশাশুনির দরগাহপুরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়েছে। পুলিশের অভিযানের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিয়ের আসর ছেড়ে বর-কনে ও মেয়ের পিতা-মাতা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। শুক্রবার ইউনিয়নের খরিয়াটি গ্রামের ইউনুছ আলি গাজী তার শিশু কন্যা স্বপ্নার সাথে মঙ্গলকোর্ট গ্রামের এক ছেলের বিয়ের আয়োজন করে। কয়েকদিন আগে কোর্টে তারা এ্যাফিডেভিট করে। স্বপ্না খরিয়াটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের ধারনা কোর্ট ম্যারেজ হয়ে গেছে, এখন রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে ছেলে মেয়েকে বধুবেশে স্বামীর ঘরে তুলে দিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলিকে বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা নিতে বললে তিনি অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। তবে তারা এ্যাফিডেভিট করিয়েছেন বলে প্রচার দিলে ইউএনও মহোদয় তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রেরণ করলে বর-কনে, কনের পিতা-মাতাসহ অনুষ্ঠানে সবাই পালিয়ে যায়। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এব্যাপারে কনের অভিভাবকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা জানান, এ্যাফিডেভিট কোন বিয়ে নয় এবং বিয়ের ব্যাপারে আইনগত কোন বৈধতা নেই। শিশু বিয়ের আয়োজন করার অপরাধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উপ-পরিচালক (স্থানীয় সকরার বিভাগ) এর পরামর্শ মোতাবেক ইউএনও স্যার সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে বলেছেন বলে জানান। সরকারি আইন বাস্তবায়নে প্রশাসন সব সময় তৎপর আছে এবং থাকবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা ঘোষণা করেন।