অনলাইন ডেস্ক : দেশে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার জন্য সমস্ত পুলিশ বিভাগের বদনাম হয়। এতে করে সৎ কর্মকর্তারাও হতাশায় ভোগেন। কিছু পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগের কোন কমতি নেই। নামে-বেনামে এরা কোটি কোটি টাকার বাড়ি-গাড়ি সম্পত্তি করেন(কিছুদিন আগে প্রথম আলোর এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনে দেখা গেছে বগুড়ায় অসংখ্য পুলিশ কর্মকর্তার বিপুল সম্পত্তি কেনার চিত্র)। সরকারি চাকুরিরত অবস্থায় তারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে শত শত লোককে আপ্যায়ন করেন। যেন বহুজাতিক কোম্পানির বার্ষিক জেনারেল মিটিং! জনগণের চোখের সামনেই এসব হয়। কেউ কেউ ১৮/২০টা করে গরু জবাই করে ভূরিভোজ করান। কিন্তু জনগণের জানার উপায় থাকে না এত অর্থ কোথা থেকে আসে! শুধু চায়ের দোকানে-টেবিলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই ঝড়ে আবার বাতাস দেন এসব অনুষ্ঠানে ভূরিভোজ করে আসাদের অনেকে! কিন্তু অবৈধ সম্পদের খোঁজ যাদের নেয়ার কথা সেই দুর্নীতি দমন কমিশন কদাচিৎ এসব ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা রাখে। কিন্তু ইদানীং এর ব্যতিক্রম শুরু হয়েছে। আগে যেসব জায়গায় কোন হাত দেয়া হত না- সেসব জায়গায় হাত দিতে শুরু করেছে বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই ধারাবাহিকতায় সাড়ে আট কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীরর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় বংশাল থানায় দুদক সমন্মিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর ৩৭।
দুদক কর্মকর্তারা ভাষ্য মতে, ওয়ান ব্যাংক বংশাল শাখার ছয়টি হিসাবে সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীর যৌথ নামে দুই কোটি ৮১ লাখ চৌদ্দ হাজার ৪৬৬ টাকার, এলিফ্যান্ট রোড শাখার একটি এফডিআর-এ ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২ টাকা এবং ওয়ান ব্যাংকের যশোর শাখায় বারোটি এফডিআর-এর ৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা অবৈধ অর্থ রয়েছে।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে এসপি ও তার স্ত্রী এসব অর্থের বৈধ কোনো পন্থা না দেখাতে পারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
এখন দেখার অপেক্ষা দুদক এর এ ধরনের প্রচেষ্টা কতদূর স্বার্থক হয়। তবে জনগণের প্রত্যাশা দুদক এর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং দেশে দুর্নীতির প্রকোপ কমবে।