দুর্নীতির অভিযোগে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) সুভাষ চন্দ্র সাহাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত ২২ অক্টোবর তাঁকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়।
ফরিদপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, আজ রাজধানীর বংশাল থানায় এসপি সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তাঁর স্ত্রী রীনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ফরিদপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, ‘গত ২২ তারিখে তাঁকে (সুভাষ চন্দ্র সাহা) ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি ওই দিনই ফরিদপুর পুলিশ সুপার হিসেবে আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন।’
এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বর ফরিদপুরের এসপি হিসেবে যোগ দেন সুভাষ চন্দ্র সাহা। চলতি বছরের পুলিশ সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) পান তিনি।
ওয়ান ব্যাংকে সুভাষ চন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীর নামে ১৯টি এফডিআরে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা পাওয়ায় গত ১১ সেপ্টেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলার অনুমোদন দেয় কমিশন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, দুদকের অনুসন্ধানে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তাঁর স্ত্রী রীনা চৌধুরীর যৌথ নামে আট কোটি ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৩৬৭ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়। যা ওয়ান ব্যাংকের রাজধানীর বংশাল শাখা ও এলিফ্যান্ট রোড শাখা এবং যশোরের ওয়ান ব্যাংক শাখায় গচ্ছিত ছিল। কিন্তু পুলিশ সুপার ওই অর্থের কথা দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণী কিংবা আয়কর নথিতে উপস্থাপন না করে গোপন করেন। দুদকের অনুসন্ধানেও ওই আয়ের যথাযথ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গচ্ছিত অর্থের মধ্যে ওয়ান ব্যাংকের বংশাল শাখার ছয়টি এফডিআরে দুই কোটি ৮১ লাখ ১৪ হাজার ৪৬৭ টাকা, এলিফ্যান্ট রোড শাখায় একটি এফডিআরে ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২ টাকা এবং যশোরের ওয়ান ব্যাংক শাখায় ১২টি এফডিআরে পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ৮৫৮ টাকা পাওয়া যায়।