রাজধানীর শাহবাগের ওষুধের দোকানগুলোতে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শাহবাগের মোট ৪১টি ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রত্যেক দোকানকেই জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় মোট ৪১ লাখ টাকা জরিমানা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। এ ছাড়া তিনটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযানে র্যাবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আটজন ড্রাগ সুপার।
যেসব অভিযোগে জরিমানা করা হয় সেগুলো হলো অনুমোদনহীন বা অবৈধ ওষুধ বিক্রি, ওষুধের পাতায় ডিআর নম্বর না থাকা এবং মানহীন ওষুধ রাখা।
এ বিষয়ে সারোয়ার আলম বলেন, দেশের রোগীদের জন্য মোট সাতটি দেশ থেকে ক্যানসার প্রতিরোধের ওষুধ বা অ্যান্টি ক্যানসার মেডিসিন আমদানি করার নিয়ম রয়েছে। তবে অনেক দোকানে বিশ্বের অন্য দেশ থেকেও আমদানি করা ওষুধ পাওয়া যায়। ফলে তাদের জরিমানা করা হয়।
সারোয়ার আলম আরো জানান, তাঁদের অভিযান অব্যাহত আছে। ভবিষ্যতেও এই অভিযান চলবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে আরো অনেক তথ্য আছে। সেগুলোর ভিত্তিতে অভিযান চালানো হবে। অপরাধীদের যথাযথ সাজা দেওয়া হবে।’
অভিযানে প্রায় এক ট্রাক ওষুধ জব্দ করা হয়। এগুলো সিটি করপোরেশনে ডাম্পিং জোনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই এগুলো ধ্বংস করা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের অভিযানে মেসার্স মেডিকোর্স ফার্মেসির এক মালিক আজিজুর রহমান মঞ্জুকে দুই বছর এবং মোর্শেদুল করিম মানিককে এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভিআইপি ড্রাগের মালিক মশিউর রহমানকেও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।