যুদ্ধের সময় আপতকালীন ভিত্তিতে যাতে যুদ্ধবিমানগুলো বড় এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামা করতে পারে, সেজন্য ভারতের আগ্রা-লক্ষ্ণৌ এক্সপ্রেসওয়ের ওপরেই ভারতীয় যুদ্ধবিমানের মহড়া চলল। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লক্ষ্ণৌ আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রেখে বিমানবাহিনীর এই মহড়া চলে।
এদিন এক্সপ্রেসওয়েতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বেশ কয়েকটি বিমান অবতরণ করে এবং আকাশে ওড়ে। প্রায় ২০টির মতো যুদ্ধবিমান এদিন নামে আগ্রা-লক্ষ্ণৌ যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে। এত সংখ্যক যুদ্ধবিমান এর আগে কোনো এক্সপ্রেসওয়েতে অবতরণ করেনি।
এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথমে কসরত দেখায় বিশ্বের বৃহত্তম পণ্যবাহী বিমান সি-১৩০ সুপার হারকিউলিস। যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্রকে চিহ্নিত করতে সক্ষম এই বিমান। এরপর নামে মিরাজ ২০০০ বিমান। এই বিমানের গতিবেগ ঘণ্টায় দুই হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী এই বিমান আকাশেই শত্রুপক্ষের বিমান ধ্বংস করতে সক্ষম। মিরাজের পর চার হাজার ৭৫০ কিলো ওজন নিয়ে অবতরণ করে জাগুয়ার। দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই বিমানের গতিবেগ ঘণ্টায় এক হাজার ৩৫০ কিলোমিটার। এ দিনের মহড়ায় অংশ নেয় সুখোই ৩০ এমকেআই বিমানও। সুখোইয়ের গতিবেগ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ২০০ কিলোমিটার। রেডারই এই বিমানের সবচেয়ে বড় শক্তি। ভারতীয় বিমানবাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী বিমান এটি। দূর থেকেই শত্রুপক্ষের বিমানের অবস্থান জানতে পারে এই বিমান। তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম সুখোই। আট হাজার কিলো গোলাবারুদও রাখা যায় এই বিমানে। মূলত, যুদ্ধের সময় জরুরি অবতরণের জন্য এক্সপ্রেসওয়েতে যুদ্ধবিমানগুলোর অবতরণের অনুশীলন করানো হয় এদিন। এই নিয়ে তৃতীয়বার ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান কোনো এক্সপ্রেসওয়েতে এই ধরনের মহড়া চালাল। যুদ্ধের সময় যুদ্ধবিমানের অবতরণের ক্ষেত্রে হাইওয়ে বা এক্সপ্রেসওয়েগুলো যাতে ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করা যায়, সেজন্যই ভারতীয় বিমানবাহিনী এদিন খোলা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর এই মহড়ার আয়োজন করে।