বাংলাদেশের সামনে ১৯৬ রানের বিশাল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল লাল সবুজের দলের। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণের সামনে বেশ দৃঢ়তা দেখিয়েছেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। দুজনে রানের চাকা সচল রাখার পাশপাশি দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি সফরকারী দলটির ব্যাটসম্যানরা। তাই সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ, ২০ রানে।
ব্লুমফন্টেইনে ম্যাচে দারুণ শুরুর পর ইমরুল ফিরে গেছেন ব্যক্তিগত ১০ রানের মাথায়। এর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব ও সৌম্যও যথেষ্টই ভালো খেলছিলেন। কিন্তু উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না অধিনায়ক সাকিব, মাত্র ১৩ রান করেই সাজ ঘরে ফিরে যান তিনি। এর পর ফিরে যান ওপেনার সৌম্য সরকারও। সাজ ঘরে ফেরার আগে তিনি খেলেন ৩১ বলে ৪৭ রানের দারুণ একটি ইনিংস।
উইকেটে মুশফিক ছিলেন বলে আশা ছিল কিছুটা। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে রওনা হন। তাঁর পথ ধরে মাহমুদউল্লাহও মাত্র ৩ রান করে সাজ ঘরে ফিরে গেছেন।
এর পর অন্যরাও ছিলেন আসা-যাওয়ার দলে। মিরাজ (১৪), তাসকিন (০) ও শফিউল (১) কেউই খুব একটা প্রতিরোধ গড়ে তুলনে পারেননি। তবে একপাশ আগলে রেখেছেন তরুণ অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। ২৭ বলে ৩৯ রান করেন এই তরুণ।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকারও শুরুটা বেশ ভালো হয়েছিল। প্রথম দুই ওভারেই ১৮ রান তোলে স্বাগতিকরা। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ওপেনার হাশিম আমলাকে ফিরিয়ে ভালোই ধাক্কা দেয় বাংলাদেশ। এরপর শুরুর ধাক্কাটা ভালোভাবেই কাটিয়ে ওঠে প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ডি কক ও ডি ভিলিয়ার্স বাংলাদেশের বোলারদের ওপর বেশ চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন।
কিন্তু দশম ওভারের শেষ বলে ডি ভিলিয়ার্সকে সাজ ঘরে ফেরান মিরাজ। তখন অবশ্য ২৭ বলে ৪৯ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। এটি মিরাজের দ্বিতীয় শিকার। এরপর জেপি ডুমিনি (১৩) ও ওপেনার ডি কক (৫৯) সাজঘরে ফেরেন।
পরে পঞ্চম উইকেটে মিলার (২৫) ও বেহারদিন (৩৬) দলকে বড় সংগ্রহ গড়ে দিতে অন্যতম অবদান রাখেন।
বাংলাদেশের পক্ষে দুটি উইকেট নেন মিরাজ। আর সাকিব ও রুবেল একটি করে উইকেট নিয়েও প্রতিপক্ষের বড় সংগ্রহের পথে বাধা হতে পারেননি।
এই ম্যাচে চার পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনকে একাদশে নেওয়া হয়েছে।
চোটের কারণে দেশে ফিরে এসেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তাদের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ কি পারবে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।
যদিও বরাবরই আশাবাদের কথা শুনিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাঁর বিশ্বাস, এই ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব ভালো কিছু করা।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দলটি কিছুটা দুর্বল। ইমরান তাহির, কাগিসো রাবাদা, ফাফ দু প্লেসির মতো তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়াই মাঠে নামতে হচ্ছে তাদের। নিয়মিত অধিনায়ক দু প্লেসি চোটের কারণে ছিটকে পড়েছেন। অন্যদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এ ম্যাচে স্বাগতিক দলের নেতৃত্বে থাকবেন জেপি ডুমিনি।