পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেলী ফেরদৌস

জাতীয়

৭ ডিবি সদস্যের অপকর্মে পুলিশ প্রশাসন কতোটা লজ্জিত?

By Daily Satkhira

October 27, 2017

ন্যাশনাল ডেস্ক : কক্সবাজার থেকে আটক ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি)’র সাত সদস্যের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার পর তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ডিবি সদস্য হিসেবে তাদের বাড়তি কোন সুবিধা পাবার অবকাশ নেই বলে সাফ জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও ওই সাতজনের কীর্তি-কলাপে লজ্জিত। তবে, আর দশটা সাধারণ অপরাধীর মতোই তাদেরকে বিবেচেনা করা হবে। তদন্তের পর প্রমাণিত হলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা অবশ্য বলছেন, বিষয়টি নিয়ে আলাদাভাবে বিভাগীয় পর্যায়ে কোন বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন নেই। সেনা সদস্যরা ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে ডিবি সদস্যদের আটক করলেও দু’বাহিনীর আন্তঃ সম্পর্কেও কোন টানাপোড়েন বা সমস্যার সৃষ্টি হবে না, হওয়ার কোর কারণও নেই। যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেলী ফেরদৌস বলেন, কক্সবাজারে আটকরা ডিবি পুলিশের সদস্য বলে আলাদা কোন সুবিধা পাবে না। তদন্তের পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর হাতে পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার বিষয়ে তিনি বলেন: কেউ অপরাধ করে থাকলে বা দেশের ভাবমূর্তি, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করলে সে যে বাহিনীরই হোক না কেন অপরাধী বলে গণ্য হবে। আর কোন অপরাধীর কারণে দুই বাহিনীর মধ্যে সম্পর্কে উন্নয়ন-অনুন্নয়নের কোন প্রশ্নই ওঠেনা। ‘অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে শাস্তি পেতেই হবে। এটাই আইনের শাসন।’ এ নিয়ে পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ে নতুন কোন সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সোহেলী ফেরেদৌস বলেন: নতুন করে কিছু বলা বা নির্দেশনা দেওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে পুলিশ বাহিনী মনে করছে না। কারণ আমরা যখন চাকুরি করতে আসি তখনই আমাদের যাবতীয় নিয়ম শৃঙ্খলা শেখানো হয়। কীভাবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করবো, ভালো থাকবো, সরকারি দায়িত্ব পালন করবো সবই আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। ‘যে যার বিষয়ে দায়িত্বশীল। কারো একক অপরাধের দায় বাংলাদেশ পুলিশ নেবে না। আর তাই আলাদাভাবে কাউকে সচেতন করার কোন প্রয়োজন এখানে নেই।’ বুধবার ভোরে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র এসআই মনিরুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদ, এএসআই গোলাম মোস্তফা, ফিরোজ আহমদ, আলা উদ্দিন এবং কনস্টেবল মোস্তফা আলম ও আল আমিনকে আটক করে সেনাবাহিনী। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিক ওই সাতজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ প্রশাসন। সাতজনই এখন কারাগারে আছেন। টেকনাফ পৌরসভার মধ্যম জালিয়াপাড়ার মৃত হোসেন আহমদের পুত্র আবদুল গফুরকে মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের থানার পেছনের রোড সংলগ্ন আল গনি রেস্তোঁরা থেকে খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় একটি মাইক্রোবাসে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার ভোরে ১৭ লাখ টাকা আদায় করে গফুরকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর পরপরই টাকাসহ সেনা বাহিনীর হাতে আটক হয় ডিবি পুলিশের ৬ সদস্য। সেনাবাহিনীর তল্লাশীর সময় এসআই মনিরুজ্জামান দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে আটক করা হয়। কক্সবাজারের অতিরিক্ত উপ পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল জানান, অভিযুক্ত ৭ ডিবি সদস্যের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে হাজিরের পর কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়।