খুলনা

পাইকগাছায় হত্যাকারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে, নিরীহ ব্যক্তিদের নামে মামলা

By Daily Satkhira

October 15, 2016

পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় লিটু হত্যা মামলায় মুল আসামীদের আড়াল করে নিরীহ ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের। এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি। সরেজমিনে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম একটি পুকুর পাশ্ববর্তী সিদ্দিক গাইনের স্ত্রী মর্জিনা কে মৎস্য চাষের জন্য প্রদান করেন। কয়েক বছর ধরে মর্জিনা উক্ত পুকুরে মৎস্য চাষ করে আসছে। কিন্তু নজরুল পুকুরের হারীর টাকা না পাওয়ায় মঞ্জুয়ারাকে ইজারা প্রদান করেন। এতে দবির গাইনের পরিবারের সাথে সিদ্দিক গাইনের পরিবারের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই সুত্র ধরে কয়েকদিন পূর্বে বড়দল খেয়া ঘাট নামক স্থান থেকে মঞ্জুয়ারা, কন্যা স্বপ্না ও রিক্তা পুকুর দখলকারী মর্জিনাকে ধরে এনে বাড়ীতে আটক রাখে। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় মর্জিনাকে উদ্ধার করে পরিষদে সালিশ করে এবং সালিশে সেলিমকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তারই অংশ হিসেবে ১০ অক্টোবর সোমবার দুপুরে মজ্ঞুয়ারার বিবাহিতা কন্যা রিক্তাকে সিদ্দিক গাইনের বাড়ীর সন্নিকটে বিষ্ণুপুর কালভার্টের নিকটে পেয়ে সিদ্দিকের কন্যা ফাতেমা, হাসিনা, জুলেখা, আয়শা, মনোয়ারা বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে রিক্তা মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হলে তাকে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় ঝগড়া চলতে থাকে। এরই মধ্যে সালেক গাইন, হাফিজুল গাইন, মাহদুল্লা গাইন, বাশার হাওলাদার, বাবু গাইন, সিদ্দিক গাইন গংরা সেলিমের চাচাত ভাই লিটুকে বাড়ীর প্রবেশ রাস্তায় একা পেয়ে মারধর শুরু করে। নিহত লিটুর ভাগ্নি স্বপা বেগম জানান, তাদের মারধরের এক পর্যায়ে কুড়ালের কোপের আঘাতে আমার মামা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ও আত্মীয় স্বজনরা লিটুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটুর মৃত্যু হয়। কিন্ত অবাস্তব হলেও সত্য লিটুর সৎ ভাই এ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় যে হত্যা মামলা দায়ের করেছে তাতে প্রকৃত হত্যাকারীদের আড়াল করা হয়েছে। অনেক নিরীহ ব্যক্তিদের আসামী শ্রেণী ভুক্ত করেছে তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। এলাকার সচেতন মহল সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ঠ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট জোর দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাইকগাছার থানার ওসি (তদন্ত) এস,এম, জাবীদ হাসান বলেন, মামলায় কোন নিরীহ ব্যক্তিকে হয়রানী করা হবে না। প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।