আসাদুজ্জামান : ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্টে শেয়ার করার অভিযোগে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক মোদাচ্ছেরুল হক হুদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে যশোর শহর থেকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ সেখানকার কতোয়ালী থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করেন। এর আগে, গত ১৪ অক্টোবর রাতে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীরীগের সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। পরদিন সকালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহমেদ উক্ত এজাহারটি পুলিশ হেড কোয়াটারে পাঠান। সেখান থেকে যচাই বাছাই শেষে ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এজাহাটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ পাওয়ার পর পরই মামলাটি রেকর্ড করেন ওসি। মামলা নং-৫২। তারিখ-১৭.১০.১৭। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা হুদা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বেশ কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে আপত্তিকর পেষ্টে শেয়ার করেছেন নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন তার ফেইসবুক আইডিতে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিয়েও গালিগালাজের কমতি করেননি। প্রধানমন্ত্রীর বিকৃত ছবি আপলোড করা পোষ্টেও তিনি শেয়ার করেন। তিনি আল জাহিদ নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে আপলোড করা পোষ্টে শেয়ার করে এই অপকর্মগুলি অনায়াসে চালিয়ে গেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে আপত্তিকর কথা লিখে শেয়ারও করেন। Modasserul Haque Huda নামের আইডি থেকে বিএনপি অনলাইন উইং, বিএনপি সমর্থকগোষ্ঠী, ইরা চৌধুরী আইডি থেকে সরকার বিরোধী ও দেশ বিরোধী আপলোড করা ছবিসহ বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করেন। এ বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে সাতক্ষীরার পৌর আওয়ামীরীগের সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ বিএনপি নেতা হুদার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাকে এখন যশোর শহর থেকে সাতক্ষীরায় আনা হচ্ছে। উল্লেখ্য ঃ বিএনপি নেতা হুদার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়েরের পর থেকে দীর্ঘ ১৫ দিন পলাতক থাকার পর রোববার সকালে পুলিশ তাকে যশোর শহর থেকে গ্রেফতার করেন। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর তিনি পলাতক থাকা অবস্থায় তার আপন সহোদর ভালুকা চাঁদপুর কলেজের বিতর্কিত অধ্যক্ষ ও সাবেক বিএনপি নেতা মোবাশ্বেরুল হক জোতির সহযোগিতায় তিনি তার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। এ নিয়েও সমালোচনার ঝড় ওঠে কলেজ অধ্যক্ষ জোতির বিরুদ্ধে।