আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের চেচুয়া মদিনাতুল উলুম বহুমুখি ফাজিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও খাতা কলমে শিক্ষার্থী দেখিয়ে চলছে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। মাদ্রাসায় এবতেদায়ী গ্রুপে ২৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য নিয়োজিত আছেন ৪জন শিক্ষক। এবতেদায়ী মাদ্রাসায় এবতেদায়ীর প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন আনোয়ারা খাতুন, সহকারী হিসেবে নিয়োজিত আছেন নির্মল চন্দ্র বাছাড়, মাওঃ তৈয়েবুর রহমান ও আঃ মালেক। এর মধ্যে আঃ মালেক অসুস্থ জনিত কারণে ছুটিতে আছেন। কিন্তু অভিযোগ আছে মাওঃ তৈয়েবুর রহমান প্রায় দিন সকালে স্কুলে হাজির হয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বিভিন্ন কারণে স্কুল থেকে বেরিয়ে যান। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা খাতুনের তো দেখাই মেলে না। ক্লাস রুমে গিয়ে দেখা গেছে স্কুলে ৪টি শ্রেনী কক্ষের মধ্যে একটি ব্যবহার উপযোগী। যেখানে ১০জন শিক্ষার্থীও বসতে পারবে না, কিন্তু ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি শ্রেণী কক্ষে ৩জন শিক্ষর্থীকে নিয়ে চলে শিক্ষা কার্যক্রম। আবার কোন কোন দিন শিক্ষার্থী না থাকায় বন্দ থাকে প্রতিষ্ঠান। এভাবেই চলছে চেচুয়া মদিনাতুল উলুম বহুমুখি ফাজিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী সেকসানের শিক্ষা কার্যক্রম। এলাকাবাসী অভিযোগ উক্ত মাদ্রাসায় শিক্ষা নামে চলছে প্রতারণা। একটি শিশু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা পাশাপাশি তার নাম এ এবতেদায়ী মাদ্রাসায় ব্যবহার করে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। আর এবিষয় গুলো জেনেও না জানার ভান করছেন সম্ভাব্য ও নব নির্মিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। তবে অনুসন্ধানে জানাগেছে উক্ত কমিটির অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ নাশকতা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত বা পরিবারের কে না কেহ। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও অত্র প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সাহী সদস্য এনামুল হক জানান প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু শিক্ষক নাশকতা মামলার আসামী ও মানবতা বিরোধী মামলার আসামীদের আত্মীয়। তিনি আরও বলেন স্কুল ছুটি থাকা কালিন সরকার বিরোধী শিক্ষকরা স্কুল রুমে বসে নাশকতার বিভিন্ন পরিকল্পা করেন। আনুলিয়া এউপি চেয়ারম্যান জানান, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপের মধ্যে একটু সমস্যা চলছে। বিষয়টি মিমাংশা করার চেষ্টা চলছে। প্রতিষ্ঠানের সমস্যার বিষয় গুলি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রসাশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন এলাকাবাসী।