আবারো বঙ্গোপসাগর উপকূলে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় পাঁচ শিশুসহ ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ আমানুল্লাহ জানান ‘ব্রাকে রোর কর্মীরা নৌকা ডুবির ৫ জন রোহিঙ্গা নারী ও শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার মধ্যে ৩ জনই মৃত।
এরা হলেন মিয়ানমারের বুচিডং ইয়ংচং এলাকার মোঃ ইসলামের পুত্র এনামুল হাসান (৪), আলী জোহারের মেয়ে মিনারা বেগম (৫), আবুল হাশেমের স্ত্রী জুহুরা বেগম (৬০)। অপর ২ জনকে প্রাথমিক সেবা দিয়ে রেফার করা হয়েছে। এরা হলেন আহমদ নুরের পুত্র হামিদ নুর (১), আজিজুল হকের মেয়ে আজিজা বেগম (২)।
তিনি আরও বলেন, আমার পাশাপাশি সরকারি মেডিকেল টিমের ডাঃ ওসমান এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার (আওএম) মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাইমাপ্রু মুমুর্ষ রোহিঙ্গাদের সেবা দিয়েছেন। ট্রলারে ২৬ জন রোহিঙ্গা ছিল। রাত ১টায় তারা মিয়ানমার থেকে রওয়ানা দিয়েছিল। জীবিত উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা দালাল কে, ট্রলারের মালিক কে সে সম্পর্কে কিছুই জানেনা’।
বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওঃ আজিজ উদ্দিন বলেন ‘রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারটি বাহারছড়ার উপকুল দিয়ে অনুপ্রবেশকালে কোস্ট গার্ড বাধা প্রদান করেন। কোস্ট গার্ডের ধাওয়া খেয়ে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারটি ইনানীর দিকে চলে যায়’।
সকাল ১১টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত ৩ রোহিঙ্গার লাশ টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর স্বাস্থ্ ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে রয়েছে