ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে এলজিএসপি প্রকল্পের কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ৯ টি স্থানে এলজিএসপির প্রজেক্টে ইটের সোলিং কাজের জন্য ১৮ লক্ষ টাকা সরকারিভাবে বাজেট দেওয়া হয়েছে। এই কাজের জন্য সরকারি নির্ধারণ অনুযায়ী ভাটার ১ নং ইট ব্যাবহারের কথা উল্লেখ থাকলেও সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কেএম মোশারফ হোসেন তার নিজের অবৈধ নিষিদ্ধ পাজার নিন্মমানের ইট দিয়ে ইউপি সদস্যদের কাজ সম্পন্ন করতে বাধ্য করছে বলে জানাযায়। ইউনিয়নের যে সকল ওয়ার্ডে এলজিএসপি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে ইউপি সদস্য জিএম নুরুল হকের ১নং ওয়ার্ডে ৪শত ৩৫ ফুট রাস্তা, মমতাজুল হক মমের ২নং ওয়ার্ডে ৫শত ৫ ফুট রাস্তা,জোবেদ আলী গাজী ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ৪শত ১৫ ফুট রাস্তা, নজরুল ইসলাম ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ৪শত ৫ ফুট রাস্তা, রাশিদা খাতুন ১,২,৩ ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য ৪ শত ৬১ ফুট রাস্তার কাজ সম্পন্ন করেছে। কিন্তু সব কয়টি রাস্তার ইট ব্যবহার করা হয়েছে চেয়ারম্যানের নিজের অবৈধ পাজার ৩ নং ইট। অন্যান্য ইউপি সদস্যদের মধ্য রাস্তার কাজ পেয়েছে ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জলিল গাইন, ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রহমান মোল্ল্যা ইউপি, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শ্যামলী রানী এখনও তার কাজ সম্পন্ন হয়নি। নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজের বিষয় জানতে চাইলে ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল হক বলেন স্থানীয়রা তিন নাম্বার ইট দেখে বাঁধা প্রদান করেছিল এ বিষয়টি আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানালে তিনি বলে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈন উদ্দীন হাসান রাস্তার এই ইটের বিষয় অবগত আছেন আপনি নিশ্চিন্তে কাজ চালিয়ে যান। এবিষয়ে অন্যান্য ইউপি সদস্যরা সাংবাদিকদের বলেন ইউপি চেয়াম্যান আমাদের রাস্তার কাজের জন্য তার পাজার ইট দিয়েছে এটা সত্য। কিন্তু কোন মন্তব্য করতে রাজী হয়নি ইউপি সদস্যরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউপি সদস্য জানান আমাদেরকে চেয়ারম্যানের পাঁজার নিম্ন মানের ইট দিয়ে রাস্তার কাজ করানোর জন্য বাধ্য করা হয়েছে আমাদের কোন দোষ নেই আপনাদের কিছু জানার প্রয়োজন হলে চেয়ারম্যান সাহেবের নিকট জানতে পারেন। ইউনিয়ন পরিষদে কতটি ওয়ার্ডে কাজ হয়েছে এবং কত টাকার কাজ সাংকাদিকরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাজ বিহারী রায় রাজুর কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যেয়ে বলেন, আমাকে চেয়ারম্যানের কথামত চলতে হয় আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। আর জানলেও চেয়াম্যানের অনুমতি ছাড়া বলতে পারব না। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, আমার পাজার ইট এটা ঠিক আছে কিন্তু সব ১ নং ইট দিয়ে প্রত্যেকটি রাস্তার কাজ হচ্ছে এবং হবে বলে তিনি জানান। চেয়ারম্যানের নিন্মমানের ইট দিয়ে রাস্তার কাজ হওয়ায় হতবাক এলাকাবাসী। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নিন্ম মানের ইট দিয়ে রাস্তার কাজ সম্পন্ন সকল ইট তুলে ১নং ইট দিয়ে পুনরায় কাজ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকার সচেতন মহল।