আশাশুনি

কাদাকাটিতে যাত্রাপালার অন্তরালে চলছে রমরমা জুয়ার আসর

By Daily Satkhira

November 02, 2017

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটিতে যাত্রপালার অন্তরালে চলছে জাতি ও সমাজ ধ্বংসের মূলমন্ত্র জুয়ার আসর। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালাকে হাতিয়ার বানিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কাদাকাটি ইউনিয়নের জদুয়াডাঙ্গা জগদ্ধাত্রী পূজা মন্দির মাঠে চলছে এ রমরমা জুয়া আসর। স্থানীয় এক শ্রেণির সমাজবিরোধী ও স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাতভর চলে এ বৃহৎ জুয়ার আসর। আর এতে অংশগ্রহণ করে এলাকার অল্প বয়সী কিশোর, স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র ও শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ। বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে জুয়ার আসর চললেও তা বন্ধের লক্ষে কাদাকাটি ইউনিয়নের কোন রাজনৈতিক সংগঠন বা প্রশাসনিকভাবে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে জানান স্থানীয়রা। গত ৩দিনে কাদাকাটি ইউনিয়নের জদুয়াডাঙ্গা বাজারের বিভিন্ন চায়ের দোকানে বসা জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মন্দির মাঠে জুয়া খেলার অর্থ জোগান দিতে এলাকায় চুরি, ছিনতাই ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মৎস্য ঘেরে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আফজাল হোসেন (৪৫) জানান, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মঞ্চ যাত্রাপালার একজন ভক্ত তিনি। অনুষ্ঠানের খরব শুনে কাদাকাটিতে যাত্রা উপভোগ করতে গিয়ে দেখেন সেখানে যাত্রাপালার অন্তরালে চলছে জাতি ও সমাজ ধ্বংসের মূলমন্ত্র জুয়ার আসর। এছাড়া উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু বক্কর সানা (৩৫) জানান, যাত্রাপালা ও জুয়ার আসর মাঠের চারপাশে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের আনাগোনা ছিলো লক্ষণীয়। কিন্তু চোখের সামনে এতবড় বে-আইনি কর্মকা- হলেও তা বাধাঁ দিতে বা প্রতিহত করতে কারও যেন কোন মাথা ব্যাথাই নেই। অনুসন্ধানে জানা গেছে আশাশুনি উপজেলাসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ী যাত্রাপালার নামে পুলিশ ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতভর পরিচালনা করে নগ্ন নৃত্য ও বৃহৎ জুয়ার আসর। এমতাবস্থায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নিকট সচেতন এলাকাবাসীর দাবি নগ্ন নৃত্য ও বৃহৎ জুয়ার আসর বন্ধ করে যাত্রা শিল্পকে তার পূর্বের সর্বজনপ্রিয় শৈল্পিক রূপ ফিরিয়ে দেয়া হোক।