আসাদুজ্জামান : সুন্দরবন উপকূলীয় প্রাণ বৈচিত্র্য সুরক্ষায় দুবলার চরের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবে চলছে ব্যতিক্রমধর্মী প্রচারাভিযান। শুক্রবার সকাল থেকে দুবলার চরে ‘সুন্দরবন উপকূলীয় প্রাণ বৈচিত্র্য সুরক্ষায় নবীন-প্রবীণ সংহতি’ শীর্ষক এই প্রচারাভিযান চালাচ্ছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, সাতক্ষীরা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক, শ্যামনগর উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কেন্দ্র, সামাজিক বন বিভাগ, কৃষি বিভাগ, স্থানীয় সরকারসহ ২২টি জনসংগঠন। এ সময় ‘সুন্দরবনে বর্জ্য না ফেলি, সুন্দরবনের পরিবেশ ভাল রাখি,’ ‘সুন্দরবন আমাদের বাচিয়ে রাখে’, ‘সুন্দরবনে লাউড স্পিকার না বাজায়’,সহ নানা স্লোগান সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করে সংগঠনের সদস্যরা। ব্যতিক্রমধর্মী এই প্রচারাভিযান সম্পর্কে সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সভাপতি মারুফ হোসেন মিলন জানান, উপকূলীয় প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষায় বরাবরই মায়ের মতো ভূমিকা পালন করে সুন্দরবন। কিন্তু মনুষ্যসৃষ্ট নানা কারণে সুন্দরবন উপকূলীয় প্রাণবৈচিত্র্য এখন বিপদাপন্ন। তাই আমাদের এই প্রচারাভিযান। সাতক্ষীরা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ হাসান ও প্রচার সম্পাদক নুরুল হুদা জানান, রাস উৎসব গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রাণের উৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে দুবলার চরের রাস মেলায় আগমন ঘটে হাজার হাজার মানুষের। মানুষ জেনে না জেনে সুন্দরবন উপকূলীয় প্রাণ বৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর অনেক কাজ করে ফেলে। এসব নেতিবাচক কাজ থেকে বিরত রাখতে আমাদের সামান্য প্রচেষ্টা। গবেষক পাভেল পার্থ জানান, সুন্দরবন সুরক্ষায় এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রচারাভিযান এবং সাতক্ষীরার ২২টি জনসংগঠনের এই উদ্যোগ সুন্দরবন সুরক্ষায় নবীন-প্রবীণের সংহতি প্রকাশ করছে।