স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরের মাঠে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)র পঞ্চম আসরের দুর্দান্ত যাত্রা শুরু করছে সিলেট সিক্সার্স। এবারকুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকেও পরাজয়ের হাত থেকে বাচাতে পারে নি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। সিলেট সিক্সার্সে কাছে ৪ উইকেটে হারে নবীর ভিক্টোরিয়ান্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেওয়া ১৪৬ রানের টার্গেট। আর সেই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে থারাঙ্গা ও ফ্লেচার ৭৩ রানের জুটি করে সিলেটকে অনেকটাই জয়ের দিকে এগিয়ে দেন। ফ্লেচারকে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে সাজঘরে ফিরিয়েছেন ডোয়াইন ব্রাভো। এরপর মোহাম্মদ নবীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাব্বিরও ফিরেছেন ৩ রান করে। ৫১ রান করে রান আউটের কবলে পড়েন থারাঙ্গা। অধিনায়ক নাসির ২০ বলে ১৮ রান করে আউট হয়ে সাজঘঅরে ফিরে যায়। তবে বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারে নি রস হুইটলি ও শুভাগত হোম। তবে মাঠে নেমেই প্রথম বলে ছক্কা হাকান নুরুল হাসান সোহান। ১৯.৫ বলের সময় ৪ মেরে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় সিলেট সিক্সার্স। এর আগে গতবারের চ্যাম্পিয়ান ঢাকা ডায়নামাইটসকে কোন প্রকার চান্স দেয়নি উদ্বোধনী ম্যাচে। ঢাকাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে প্রথম ম্যাচে বিশাল জয় তুলে নেয় সিলেট সিক্সার্স। শনিবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটসের মুখোমুখি হয়েছে নাসির হোসেনের দল। ঐ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক নাসির হোসেন। আজও টস জিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপক্ষে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নাসির হোসেন। শুরুতেই সিলেট সিক্সার্সের বোলাররা মাঠে নেমেই কোণঠাসা করে তুলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনিংয়ে খেলতে নামা ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসকে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৪৫ রান করে কুমিল্লা। জয়ের জন্য সিলেটের করতে হবে ১৪৬ রান। কুমিল্লার হয়ে ওপেন করতে আসেন লিটন কুমার দাস ও ইমরুল কায়েস। এ দুই ওপেনার দেখে-শুনে ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন সিলটের বোলারদের। ৩৬ রানের একটি অসাধারণ জুটিও গড়ে তোলেন। কিন্তু প্রথম দিনের মতোই এদিনও সিলেটের হয়ে প্রতিপক্ষে শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন নাসির হোসেন। ইনিংসের পঞ্চম ওভার করতে আসেন নাসির। নাসিরের পঞ্চম বলটি ইমরুল সজোরে খেলতে চাইলে, ব্যাটের কোনায় লেগে সরাসরি স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। ফলে ১২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন কুমিল্লার এ ওপেনার। এরপরই তাইজুলের জোড়া আঘাত। পর পর ব্যক্তিগত দুই ওভারে তুলে নেন লিটন দাস ও জস বাটলারের উইকেট। এরপর মারলন স্যামুয়েলসের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ১৪৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে সক্ষম হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। স্যামুয়েলস ৪৭ বলে করেন ৬০ রান। এ ছাড়া ১৬ বলে ২৬ রান করেন অলক কাপালি। সিলেটের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ক্রিসমরি সান্তোকি ও তাইজুল ইসলাম।