নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারতে পাচার হওয়া শিশু অবশেষে ৫দিন পরে কলারোয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হলো। ফিরে পেল তার মা। মঙ্গলবার সকালে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ সাংবাদিকদের জানান- কলারোয়া থানা পুলিশের উদ্যোগে “মা ফিরে পেল পাচার হয়ে যাওয়া তিন বছরের শিশু বাচ্চা মুস্তাকিম হাসান আপনকে। সে কলারোয়া উপজেলার উত্তর ভাদিয়াল গ্রামের আলমগীর হোসেন ও মোছাঃ নাসরিন সুলতানের পুত্র। ৪নভেম্বর বেলা ১২টার দিকে কলারোয়া থানায় শিশু পাচার সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়। পরে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথের তৎপরতায় পুলিশ অভিযান শুরু করে। পুলিশের অভিযানের কথা জানতে পেরে শিশু পাচারকারী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আত্মগোপন করে। পরে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করে তাহাদের নির্দেশ মোতাবেক ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৭ ধারা মোতাবেক কলারোয়া থানার মামলা নং-০৩, তাং-০৪/১১/১৭ খ্রিঃ রুজু করে পাচার হয়ে যাওয়া শিশু বাচ্চা মুস্তাকিম’কে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ এর সাথে জরুরী ভাবে পতাকা বৈঠক করেন এবং ভিকটিমকে উদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। উক্ত নির্দেশনা মোতাবেক ৬ নভেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ৭৬ বিএন বিএসএফ বিওপি বিথারিদের মাধ্যমে ভারতের হামিকপুর বাসস্ট্যান্ড হইতে পাচার হয়ে যাওয়া শিশু মুস্তাকিমকে উদ্ধার পূর্বক বাংলাদেশ ভারতের সীমান্ত এলাকা কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভাদিয়ালী ১নং পোস্ট নামক স্থানে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৩৮/ই কোম্পানী মাদরা বিওপি এর বিজিবি সদ্যদের মাধ্যমে রাত ৯টার দিকে কলারোয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। পরে ভিকটিম মুস্তাকিম হাসানকে তাহা মা মোছা. নাসরিন সুলতানার কোলে তুলে দেয়া হয়। বর্তমানে মামলাটির সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে এজাহার নামীয় আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য থানা পুলিশের অভিযান অব্যহত রেখেছে বলে জানা ওসি বিপ্লব দেব নাথ।