আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের মধ্যম চাপড়ায় শত বছরের বসত ভিটা থেকে বারবার উচ্ছেদ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে অবশেষে হয়রানির উদ্দেশ্যে দুদুক(দুর্নীতি দমন কমিশন)-এ মিথ্যা অভিযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন ঘুরে ও উল্লেখিত সম্পত্তির কাগজপত্র থেকে জানা গেছে, চাপড়া মৌজার সিএস ২৭০ দাগ নং ৬৮৭, ৮৩ শতক ট্রাষ্ট কৃত সম্পত্তি যাহা পিরোত্তর খানেখোদা, ভোগ দখলীয় সূত্রে মধ্য স্বত্ত্বাধিকারী চিরস্থায়ী বাস্তভিটা উল্লেখে খাদেম হিসাবে চাপড়া গ্রামের মালেক গাজীর পুত্র হাফিজুল ইসলাম গংদের নামে রেকর্ড হয়। উক্ত রেকর্ডে প্রত্যেকের অংশ মোতাবেক ভোগ দখলের অধিকার দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে হাফিজুল ইসলাম গং’রা দীর্ঘ কাল যাবত শান্তিপূর্ন পরিবেশে আংশিক জমি ঈদ গাহ এর জন্য, আংশিক কবরস্থান ও বাকি জমিতে বসত বাড়ি হিসাবে ভোগদখল ও তত্বাবধায়ন করে আসছে। হাফিজুর গংদের দাদাারা মারা গেলে ওয়ারেশ উত্তরাধীকারি হিসাবে তাদের পুত্ররা খাদেম হিসাবে তত্বাবধানসহ পর্যায় ক্রমে শত বছরের উর্দ্ধকাল যাবত ভোগদখল ও বসবাস করে আসছে। পরবর্তীতে এসএ রেকর্ড নিয়ম অনুযায়ী সিএস মালিকদের ওয়ারিশ পুত্র অর্থাৎ হাফিজুল গংদের পিতা চাচাদের নামে এসএ ৪২৪ নং খতিয়ানে রেকর্ড হয়। অতঃপর বর্তমান সেটেলমেন্টের জরিপে যথা নিয়মে ওয়রেশদের নামে রেকর্ড হয়। এমনকি ম্যাপ চিহ্নত হযে রেকর্ড প্রস্তুত হয়েছে। যেখানে কাগজ পত্রে কোন ভুলত্রুটি বা জালজালিয়াতির প্রমান পাওয়া যায়নি। এভাবে কোন সমস্যা ছাড়াই ঈদের নামাজ পড়ার স্থানে(ঈদ গাহ)শান্তিূপূণ ভাবে নামাজ সম্পন্ন হচ্ছে। কিন্তু গ্রামের গুটি কয়েক ব্যক্তি অহেতুক হয়রানি করার উদ্দেশ্যে গ্রামের কিছু মানুষের স্বাক্ষর জাল করে মধ্যম চাপড়া গ্রামের মৃত কওছার গোলদারের পুত্র আ. গফুর বাদি হয়ে দুদুক-এ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে হাফিজুল গংদের হয়রানি করে আসছে। মিথ্যা হয়রানির প্রতিকার চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।