রাশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে চরম নাটকীয়তায় জয় পেল আর্জেন্টিনা। খেলা শেষ হওয়ার মাত্র ৪ মিনিট বাকি থাকতে জয়সূচক গোলের দেখা পায় সাম্পাওলির শিষ্যরা। আর গোলটি এসেছে ম্যানসিটির তারকা সার্জিও আগুয়েরোর পা থেকে।
বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর আগে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ নিঃসন্দেহে রাশিয়ানদের উজ্জীবীত করবে। কারণ ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। মেসি-আগুয়েরো-ডি মারিয়ারা জ্বলে উঠলেও রাশিয়ার জালে বল জড়াতে পারেননি। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পরও গোলের দেখা না পাওয়া আর্জেন্টিনাকে হতাশা পেয়ে বসে। ম্যাচের ৮৬ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টাইনদের হতাশা দূর করে গোল করেন ম্যানসিটির তারকা সার্জিও আগুয়েরো। তার একমাত্র গোলেই ১-০ তে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ৩-৩-৩-১ ফরমেশনে খেলা জর্জ সাম্পাওলির শিষ্যরা।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইকুয়েডরের বিপক্ষে জয় নিয়ে সরাসরি রাশিয়ার টিকিট কাটে মেসি বাহিনী। বিশ্বকাপের আগে প্রস্ততির অংশ হিসেবে মস্কোর লুঝনিকিতে অলিম্পিস্কি স্টেডিয়ামে নামে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ২১তম মিনিটে ডি মারিয়ার জোরালো শট রুখে দেন রাশিয়ার গোলরক্ষক। ২৪ মিনিটের মাথায় আগুয়েরোকে হতাশ হতে হয়। ৩৬ মিনিটের মাথায় মেসির বাড়িয়ে দেওয়া বল সুযোগের অপেক্ষায় থাকা ডি মারিয়া পেলেও এই পিএসজির তারকা আর্জেন্টিনার হতাশা আরও বাড়ান। পরের মিনিটেই আগুয়েরোর আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
বিরতির আগে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনা বলের দখলেও এগিয়ে ছিল। বিরতির আগে নিজেদের দখলে রেখেছিল ৭৭ শতাংশ বল। আর্জেন্টিনার ৪৪৫ পাসের বিপরীতে রাশিয়া ১৩৩ পাসে প্রথমার্ধ শেষ করে। বিরতির পর ম্যাচের ৬৫ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ নষ্ট করেন ওটামেন্ডি। দুই মিনিট পর ডি মারিয়া জোরালো শট নিলেও তা লুফে নেন রাশিয়ার গোলররক্ষ।
৮৬ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন আগুয়েরো। পরের মিনিটেই আগুয়েরোকে তুলে নিয়ে সাম্পাওলি মাঠে পাঠান পাওলো দিবালাকে। তবে, বাকি সময়ে স্কোরের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
আগামী মঙ্গলবার রাশিয়া আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে স্পেনের বিপক্ষে। আর আর্জেন্টাইনরা পরের ম্যাচে নামবে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে।