ফিচার

শ্যামনগর শিক্ষক সমিতির সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন

By Daily Satkhira

November 12, 2017

শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম হেলালের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুনীর আহমেদ, কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সোহারাব হোসেন তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। উপজেলার ৯৭নং কাচিহারানিয়া মেহেরুন্নেছা জয়নাল আবেদীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মুজিবর রহমান বাদী হয়ে গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতি অর্থ আত্মসাৎসহ সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ করেন। তবে কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ মিলেছে, শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম হেলালের বিরুদ্ধে সভাপতির সাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত কালে আরও ৫ সদস্যের সাক্ষর জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে একাধিক সদস্য জানান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আশাশুনি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুনীর আহমেদ তদন্তে আসেন। এসময় কালিগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যববৃন্দ, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকালে বাদী, বিবাদী ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের লিখিত জবানবন্দী, মৌখিক জবানবন্দী গ্রহন ও সরেজমিন তদন্ত করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মুজিবর রহমান জানান, দূর্নীতি গ্রস্থ, মান নিয়ন্ত্রন যাচাই কমিটির স¦াক্ষর জাল, রেজুলেশন বইয়ের স¦াক্ষর জাল, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহ অধিকাংশ সদস্যের সাক্ষর জাল, খরচের ভাউচারে জাল স¦াক্ষর, অর্থ আত্মসাৎ,স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ ৭৪ নং গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম হেলাল সর্বশেষ চার বছর ৯৭নং মেহেরুন্নেছা জয়নাল আবেদীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এসময় তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মুজিবর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে ইচ্ছামত রেজুলেশন তৈরী করেছেন। এছাড়া বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলনের পর মালামাল ক্রয় না করে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া ভাউচার দাখিল করেছে।আরও অভিযোগ উঠেছে সিরাজুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে তিনটি অর্থ বছরে একলাখ দশ হাজার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তদন্তশেষে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, তদন্তকালে যা কিছু পাওয়া গিয়েছে, তা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে লিখিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে অবিহত করা হবে।