জাতীয়

ফরহাদ মজহার ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি চাইল পুলিশ

By Daily Satkhira

November 14, 2017

কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে অপহরণের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করে তিনি ও তাঁর স্ত্রী ফরিদা আখতারের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি চেয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে মজহারকে অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবির পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করে মামলার অনুমতি চান।

ঢাকার মহানগর হাকিম খুরশিদ আলমের আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, অপহরণের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন ফরহাদ মজহার।

এ বিষয়ে ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, অপহরণ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। এর পর মিথ্যা তথ্য ও হয়রানির অভিযোগে ফরহাদ মজহার ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১০৯ ও ২১১ ধারা অনুযায়ী মামলার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবুল।

চলতি বছরের ৩ জুলাই বিকেলে ফরহাদ মজহারের রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডের ১ নম্বর বাড়িতে তাঁর বন্ধু গৌতম দাস সাংবাদিকদের জানান, ভোর ৫টার দিকে বাসার সামনে থেকে কে বা কারা ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

গৌতম জানান, অপহরণের আধা ঘণ্টা পর মজহারের ফোন থেকে তাঁর স্ত্রী ফরিদা আখতারের কাছে কল আসে। ফোনে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এ কথা বলেই তিনি ফোনটি কেটে দেন।

গৌতম আরো জানান, বিষয়টি আদাবর থানার পুলিশকে জানানো হয়। পরে সেদিন দুপুরে মোবাইল ট্র্যাক করে ফরহাদ মজহার খুলনার শিববাড়ী এলাকায় বলে নিশ্চিত হয় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। পরে তাঁকে উদ্ধারে সন্ধ্যা ৬টার দিকে র‍্যাব-৬-এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে শিববাড়ী এলাকায় কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোড, ইব্রাহিম মিয়া রোড এলাকায় বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু শুরু হয়। এ সময় আশপাশে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনও তল্লাশি করা হয়।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের নোয়াপাড়া এলাকায় হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করা হয়।

দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার আদাবর থানা পুলিশ ও ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের একটি দল ফরহাদ মজহারকে নিয়ে মাইক্রোবাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। পরের দিন আদালতে হাজির করা হয় তাঁকে। আদালত ফরহাদ মজদারকে নিজ জিম্মায় যাওয়ার অনুমতি দেন।