শেষ ওভারে জয়ের জন্য ঢাকা ডায়নামাইটসের দরকার ছিল ৬ রান। হাতে ৬ উইকেট। এর মধ্যে ক্রিজে রয়েছে সেট হওয়া ব্যাটসম্যান জহুরুল ইসলাম। তার সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন। কার্লোস ব্রাথওয়েটের প্রথম তিনটি বল থেকে কেবল একটি রান নিতে পারলেন জহুরুল। স্ট্রাইক প্রান্তে গিয়ে মোসাদ্দেকও একটির বেশি রান নিতে পারলেন না। স্ট্রাইকে আবারও জহুরুল। প্যাভিলনে তখন দেখানো হচ্ছিল হেলমেট পরা পেসার আবু হায়দার রনিকে। যেন তিনি নামতে পারলেও ম্যাচটি বের করে আনতে পারতেন।
২ বলে দারকার ৪ রান। টান টানা উত্তেজনা। কিছুক্ষণ আগে যে ম্যাচ ছিল ঢাকার দিকে। সেই ম্যাচই এখনও খুলনার দিকে হেলে পড়েছে। তবে জয়ের জন্য একটি বলই যথেষ্ট ছিল। আর তাই কঠিন পরিস্থিতিতে কৌশলী হলেন এবার জুহুরুল। ব্রাথওয়েটের পঞ্চম বলটি একটু ফুলটস বানিয়ে স্যুইপ করলেন। ক্যাচ উঠার সম্ভাবনা জাগিয়ে তা চলে গেল সীমানার বাইরে। এক বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের জয় পেল ঢাকা। আর আশা জাগিয়েও ম্যাচটা ফসকে গেলে খুলনার হাত থেকে।
এর আগে, কার্লোস ব্রাথওয়েটের ২৯ বলে ৬৪ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে খুলনা। জবাব দিতে নেমে ৪১ রানে প্রথম সারির ৫ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। সেখান থেকে জহুরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে মিরপুরে ঝড় তোলেন কাইরন পোলার্ড। ২৪ বলে ৫৫ রানে আউট হওয়ার আগে ম্যাচটিকে ঢাকার জয়ের দিকেই এগিয়ে রাখেন এই ক্যারিবীয়ান। শেষ দিকে ওই নাটকীয়তার পর ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতে নেয় ঢাকা।