বলিউড ও ক্রিকেট চিরকাল হাত ধরাধরি করে হেঁটেছে। শর্মিলা ঠাকুর, সঙ্গীতা বিজলানি, গীতা বসরা থেকে শুরু করে হালের আনুশকা শর্মাও সেই একই পথের অনুসারী।
ভারতের ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি যুবরাজ সিং বিয়ে করেছেন হ্যাজেল কিচকে। হ্যাজেল নিজেও বলিউড অভিনেত্রী। যুবি সংসারী হলেও একসময়ে এই বাঁ হাতি অলরাউন্ডারই ছিলেন পার্টি-কিং। একাধিক বলিউড অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার।
কান পাতলেই শোনা যায়, কিমের সঙ্গে যুবরাজের সম্পর্ক অনেক দূর গড়িয়ে গিয়েছিল। বাঁ হাতি বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যানের মা সেই সময় রুখে না দাঁড়ালে হয়তো বিয়েই করতেন কিম ও যুবরাজ।
কিম শর্মাই শিল্পী শেট্টীর বোন শামিতার সঙ্গে পরিচয় করে দেন যুবরাজের। এরপরেই একবার পার্টিতে কিম শর্মা আর শামিতা শেট্টীর মধ্যে তুমুল গন্ডগোল লেগে গিয়েছিল। আসলে শমিতার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই যুবি খুবই কাছের মানুষ হয়ে যান। আর সেটাই ভাল ভাবে নিতে পারেননি কিম।
জানা যায়, কিম শর্মার জন্মদিনের সেই পার্টিতে আমন্ত্রিত ছিলেন যুবরাজ ও শামিতা। পার্টিতেই কিম হঠাৎই আবিষ্কার করেন যুবরাজ ও শমিতার ‘বন্ধন’ আগের থেকেও যেন মজবুত হয়ে গিয়েছে। তাঁরা নিজেদের মধ্যে খোশগল্প করছেন, অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে ঘুরছেন। পুরা বিষয়টা ভাল ভাবে নিতে পারেননি কিম। এরপরেই শামিতার ওপরেই রেগে যান তিনি। ভরা পার্টির মধ্যে কিম আক্রমণ করে বসেন শামিতাকে। পার্টি তো ভেস্তে যায়। যুবরাজও পার্টি ছেড়ে চলে যান। কিছু বাদে শামিতাও তাই করেন। দুই নায়িকার মধ্যে কোন্দলের কয়েকদিন বাদে যুবির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় শামিতার। কিমের পরিণতিও একই হয়।