এম. বেলাল হোসাইন : সাতক্ষীরার ৬ বছরের নিষ্পাপ শিশু মরিয়ম বাঁচতে চায়। চায় অন্য শিশুদের মত স্কুলে যেতে, সকলের মত হাসি-কান্না আর দুষ্টামিতে মতে উঠতে। কিন্তু অভাব ও নিয়তি তার কাছ থেকে যেন সবকিছু কেড়ে নিয়ে চায়। মরিয়ম শহরের ইটাগাছা এলাকার দর্জি শ্রমিক জাবের হোসেন খোকনের একমাত্র কন্যা। খোকন দম্পত্তির কোল জুড়ে যখন কোন সন্তান আসে। পরিবারের মাঝে বয়ে যায় আনন্দের বন্যা। তবে জাবেরের পরিবারে ঘটেছে তার ব্যতিক্রম। একমাত্র কন্যা মরিয়ম জন্ম নিলো হার্টে ছিদ্র ও ইনফেকশন নিয়ে। এরপর থেকে দরিদ্র জাবের কন্যাকে সুস্থ করার জন্য নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছেন। বুক ভরা কষ্ট, আর চোখ ভরা জল নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। হাত পেতেছেন সমাজের বিত্তবানদের কাছেও। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যয় কয়েক লক্ষ টাকা বেশি হওয়ায় মরিয়মের পিতা তাকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তির জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. আ. ফ. ম রুহুল এমপি’র সহযোগিতায় শিশু মরিয়মকে ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনসটিটিউটে ভর্তি করাতে সক্ষম হন তিনি। সেখানে মরিয়মকে মেডিসিন বিভাগে প্রায় ১ মাস চিকিৎসা করা হলেও অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় তাকে সার্জারি বিভাগে রেফার করা হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে অপারেসন করার জন্য দেড় লক্ষ টাকা জোগাড় করার জন্য বলেন। সে অনুযায়ী জাবের কিছু সুহৃদ ব্যক্তির সহযোগিতায় কিছু টাকা জোগাড় করলেও এখনো ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। যা দরিদ্র জাবেরের পক্ষে জোড়া করা একেবারে অসম্ভব। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের ছোট ছোট সহযোগিতা পেলে মরিয়ম আবারো তার পিতা-মাতার কোল আলোকিত করতে পারবে। এমতাবস্থায় মরিয়মের পিতা জাবের হোসেনের আকুল আবেদন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যেন তাদের সহযোগিতার হাতকে আরো প্রসারিত করে মরিয়মকে তাদের কোলে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেন। বিকাশ নম্বর : ০১৯১৪৭৬১৩৫২ (মরিয়মের পিতা), কাউন্ট নং, ৫১১৪০১০০০৭৭৩২ (বেসিক ব্যাংক, সাতক্ষীরা শাখা।)