নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদরের সাতানী ভাদড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীকে জুতা দিয়ে পিটানোয় বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানকে ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন অভিভাবকেরা। পরে কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল ও সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বিদ্যালয়ে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানকে বদলি করতে হবে এইমর্মে অভিযোগ আনেন। এ সময় প্রধান শিক্ষককে বদলি করা হবে এমন আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কর্মকর্তা অভিভাবকের শান্ত করেন। জানা যায়, মঙ্গলবার টিফিনের পরে ক্লাসের ছেলে-মেয়েরা হইচই করছিল। এ সময় প্রধান শিক্ষক অফিস থেকে বেরিয়ে এসে ৩য় শ্রেণির তিন শিক্ষার্র্থী রাকিব আর্জিনা ও সারিয়াকে জুতা দিয়ে পিটাতে শুরু করেণ। পরে ওই শিক্ষার্থীরা বাড়ি যেয়ে অভিভাবকদের জানালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এবং অভিভাবকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এ ব্যাপারে একাধিক অভিভাবক বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান আগে যে বিদ্যালয়ে ছিলেন সেখানেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। তার আচার আচরণ মোটেও ভালো না। তিনি এখানে আসার আগে এই বিদ্যালয়ের অনেক সুনাম ছিল কিন্তু আসার পর থেকে বাচ্চাদের লেখাপড়ায় চরম অবণতি হয়েছে। আমরা প্রধান শিক্ষকের বদলিসহ শাস্তি দাবি করছি। কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল বলেন, ‘অভিভাবকেরা বিষয়টি আমাকে ফোনে জানায়। সেজন্যে আজ আমি, উপসহকারী শিক্ষাকর্মকর্তাসহ গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তার অপরাধের কথা স্বীকার করেন এবং সকলের কাছে ক্ষমা চান। বিষয়টি নিয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা করা হয়েছে। রোববার ওই কমিটি তাদের সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন।’ প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান ঘটনার আংশিক স্বীকার করে বলেন, ‘ছেলে মেয়েদের ভয় দেখানোর জন্য আমি জুতা তুলেছিলাম কিন্তু কাউকে আঘাত করিনি। উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, ‘কোমলমতি বাচ্চাদের শারিরীক ও মানষিকভাবে নির্যাতনের কোন সুযোগ নেই। কোন শিক্ষক যদি এমন ঘটনা ঘটায় তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল আলম বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। তবে এমন ঘটনা কোন শিক্ষক ঘটালে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।