দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার ৪নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গণস্বাক্ষরের ভিত্তিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ৮নং ওয়ার্ডের ২শতাধিক মানুষ উপস্থিতিত হয়ে গণস্বাক্ষর করে অফিসার ইনচার্জ বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে জানা যায়, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নাংলা গ্রামের আবদার গাজীর পুত্র সিদ্দিক গাজী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধীক মাদক মামলার আসামি। সে গ্রামে একের পর এক অপকর্ম ও মাদক ব্যবসা করে গ্রামের যুবকদের ধ্বংশ করে দিচ্ছে। তার হাত থেকে জনপ্রতিনিধি, সংখ্যালঘু পরিবার, কেউই রেহাই পাচ্ছে না। বিভিন্ন সময় নিজে ডিবি পুলিশ সেজে টাকা আদায় এবং প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ৮নং ওয়াডের্র দক্ষিণ নাংলা ছুটিপুর গ্রামে সিদ্দিক ও তার দলের সদস্যরা সংখ্যালঘু পরিবার হরিপদ ফকির দাশের বাড়িতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২০০০টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনতায় করে নিয়ে আসে। তার খিছুদিন পরে সে নাংলা বাজারে ভাজা ব্যবসায়ী আলাউদ্দীনের বাড়ি হতে বাড়িতে বেড়াতে আসা আতœীয় পুলিশের সদস্যকে দোকানের ভিতর ছুরি দিয়ে মারাক্ত রক্তাক্ত জখম করে। ২ বছর আগে সে, আশাশুনি উপজেলার তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলামের মৎস্যঘেরে ডাকাতি কালে সিদ্দিককে স্থানীয় জনতা একটি পাইপগানসহ হাতে নাতে ধরে ফেলে। গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তাকে। এছাড়া নিজ শরিলে ১৬ বোতল ফেনসিডিল পাচার কালে গল্লামারী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাকে আটক করে। পরে জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফিরে আসে। গত ৬ মাস আগে ডিবি পুলিশের সোর্স সেলিমের কাছ থেকে ফেনসিডিল বিক্রয় করার জন্য ২০ হাজার টাকা অগ্রিম নেয়। পরে ডিবি পুলিশের সদস্যরা তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জামিনে বাড়িতে এসে পুনরায় জমজমাট মাদক ব্যবসা চালিয়ে যেতে থাকে। এমনকি সে এবং মাদক সেবীরা মাদক সেবনের পর গ্রামের রাস্তায় চলাচলকারী নারীদের উত্যাক্ত করতে থাকে। বিষয়টি শুনে স্থানীয় ইউপি সদস্য মুজিবর রহমান তাকে নিষেধ করে দেয়। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের গালিগালাজ করে। তার কয়েকদিন পর মাদক বিক্রয় কারার স্থানে থানার এসআই মাজরিহা ও কনস্টেবল জিয়া হাতেনাতে তাকে ধরে ফেললে সিদ্দিক ও তার বাড়ির সদস্যরা তাদের উপর হামলা চালায়। এমন পরিস্থিতিতে থানার অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে সিদ্দিককে ধরে থানায় নিয়ে আসে। এঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ে পরবর্তী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। কিছুদিন হাজতে থাকার পর জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে সংশোধন না হয়ে গা ফুলিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসলে তার জীবননাশের হুমকি প্রদনা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতে এলাকার শান্তি ফিরিয়ে আনতে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষরের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি থেকে মুক্তি পেতে এবং এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।