হারের বৃত্তে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে চিটাগং ভাইকিংস। ছয় ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে তারা। চলমান বিপিএলের ১৮তম ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইটান্স এবং চিটাগং ভাইকিংস। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স ৫ উইকেটে হারিয়েছে চিটাগং ভাইকিংসকে।
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনার দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। টস হেরে ব্যাট করা লুক রঞ্চির চিটাগং নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬০ রান। জবাবে ১৮.২ ওভার ব্যাট করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা টাইটান্স।
এদিন ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি চিটাগংয়ের। দলের প্রধান ব্যাটসম্যান লুক রঞ্চি ফিরে যান প্রথম ওভারেই। এরপর দলের হাল ধরেন এনামুল হক বিজয় ও সৌম্য সরকার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৯৫ রান। দলীয় ১০১ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩৪ বলে ৩২ রান করে আউট হন সৌম্য সরকার। সৌম্য ফেরার পর পরই বিজয় ও সিকান্দার রাজাকে হারিয়ে বসে দলটি। ৪৭ বলে পাঁচটি ও তিন ছয়ে ৬২ রান করেন এনামুল হক বিজয়। শেষ পর্যন্ত ভ্যান জাইলের ১৫ বলে ২৩ ও নজিবুল্লাহ জাদরানের ১৫ বলে ২৪ রানে ভর করে ১৬০ রান সংগ্রহ করে চিটাগং ভাইকিংস।
খুলনার পক্ষে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আবু জায়েদ ৪ ওভার বল করে ২৬ রান খরচায় তুলে নেন ৩টি উইকেট। খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।
১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্কোরকার্ডে ১৫ রান যোগ করতেই ফিরে যান মাইকেল ক্লিঙ্গার। এরপর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে চার রান করেই সাজঘরে ফেরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ধীমান ঘোষ। তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রানের চাকা সচল রাখেন বাঁহাতি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান রুশো। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার ২৬ বলে পাঁচ চার ও তিন ছয়ে করেন ৪৯ রান।
রুশোর বিদায়ের পর ১৯ রানের ব্যবধানে বিদায় নেন নাজমুল হাসান শান্তও। এরপর খুলনাকে পথ দেখান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল হক। পঞ্চম উইকেটে দু’জন মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। আরিফুল হককে ৩৪ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। এরপর কার্লোস ব্রাথওয়েটের এক চার ও এক ছয়ে সমতায় আসে খুলনা। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্রিস জর্ডানের বলে মাহমুদউল্লাহর বাউন্ডারিতেই নিশ্চিত হয় খুলনার জয়।